ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিসিক শিল্পনগরীতে প্রতিদিন ১৯০০ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হচ্ছে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
বিসিক শিল্পনগরীতে প্রতিদিন ১৯০০ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হচ্ছে

ঢাকা: করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) আওতাধীন শিল্পনগরীসমূহে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার ৯০০ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১২ মে) শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিসিক শিল্পনগরীসূহ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সারাদেশে বিসিকের ৭৬টি শিল্পনগরীর মধ্যে ১৩টি শিল্পনগরীতে চাল উৎপাদন হচ্ছে।

করোনা সংকটকালে দেশের অভ্যন্তরীণ চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্পনগরীগুলোতে চাল উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিসিক শিল্পনগরী পাবনায় প্রতিদিন ৬০০ মেট্রিক টন, রাজশাহীতে ৫৫০, দিনাজপুরে ৪০০, নওগাঁতে ১২০, খুলনাতে ১০৩, কুড়িগ্রামে ২৭, কক্সবাজারে ২৫, জামালপুরে ২৩, গাইবান্ধায় ২০, শেরপুরে ১৮, রাজবাড়ীতে নয়, গোপালগঞ্জে তিন ও বাগেরহাটে দুই মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হচ্ছে।

পাবনা বিসিক শিল্পনগরীর কর্মকর্তা মো. কামাল পারভেজ জানান, শিল্পনগরীতে ৩৯টি রাইস মিল রয়েছে। মিলগুলোতে প্রতিদিন ৬০০ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হচ্ছে। যার বাজার মূল্য দুই কোটি ৭৬ লাখ টাকা।  

তিনি বলেন, পাবনা বিসিকের এ আর স্পেশালাইজড অটোরাইস মিলস দেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির চালকল। এ চালকলসহ পাবনা শিল্পনগরীর রাইস মিলসমূহে উৎপাদিত চাল রাজশাহী, রংপুর ও ঢাকা বিভাগসহ সারাদেশে সরবরাহ করা হয়।

নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরী মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আতাউর রহমান জানান, বর্তমানে বোরো মৌসুমের ধান সংগ্রহ চলছে। ধান সংগ্রহ শেষ হলে চালকলগুলোতে উৎপাদন আরও বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত চালকলগুলো থেকে সরকারও চাল ক্রয় করে থাকে। এ প্রসঙ্গে নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরী কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল আজিম বলেন, নির্ধারিত মূল্যে নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরী থেকে সরকার চাল সংগ্রহ করবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে চালকলগুলোর  মালিকপক্ষের সঙ্গে সরকারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।  

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখাসহ জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে বিসিক শিল্পনগরীর এসব কারখানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

বিসিক শিল্প নগরী খুলনায় টানেল ভিটামিন চাল, ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ), ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের ফুড ফ্রেন্ডলি প্রোগ্রাম (এফএফপি) ও সরকারের ত্রাণের চালসহ উন্নতমানের চাল উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে।

ছয়টি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান, যেমন- ভিটামিন এ, বি১, বি৯, বি১২, আয়রন ও জিংক মিশ্রিত এক শতাংশ টানেল ভিটামিন চাল ও ৯৯ শতাংশ সাধারণ চালের মিশ্রণ খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণ করা হয়। খুলনা শিল্পনগরীতে উৎপাদিত চাল খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোরসহ ৩০টি জেলায় সরবরাহ করা হয় বলে বিসিক শিল্পনগরী খুলনার শিল্পনগরী কর্মকর্তা শেখ রিয়াজুল ইসলাম জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
জিসিজি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।