ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নীতি-সহায়তার বাস্তবায়ন দেরি হলে ‘অর্থনীতি পিছিয়ে পড়বে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৯ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২০
নীতি-সহায়তার বাস্তবায়ন দেরি হলে ‘অর্থনীতি পিছিয়ে পড়বে’ অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ/ ফাইল ছবি

ঢাকা: ‘বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশে দরিদ্র, অতি দরিদ্র এবং নিঃস্ব মানুষেরর সংখ্যা বেড়েছে। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছাতে হলে, একটি টেকসই অর্থনীতি গড়তে হলে সরকারের ঘোষিত প্যাকেজের বাস্তবায়ন করতে হবে। সরকারের নীতি সহায়তা বাস্তবায়নে যত দেরি হবে, দরিদ্র তত বেশি বাড়বে। ফলে তত বেশি দরিদ্র নিয়ে কাজ করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘করোনা পেক্ষিত আসন্ন বাজেট ও সামাজিক সুরক্ষা’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় এসব মন্তব্য করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ।

ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় আরও অংশ নেন অর্থনীতিবিদ ও ঢাবি অধ্যাপক এম এম আকাশ, অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ, মহসিন আলী প্রমুখ।

ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, ‘গত এপ্রিল থেকে মে মাস পর্যন্ত দুর্নীতি কিছুটা কমেছে। তবে কিছুটা কমলে হবে না, এটা শূন্যে আসতে হবে, এ নিয়ে সরকার কাজ করছে আরও কাজ করতে হবে। আমাদের অনেকে বলছেন দান-খয়রাতের প্রয়োজন নেই, দরকার কর্মসংস্থান। এ মুহূর্তে দান-খয়রাত যাই বলেন প্রয়োজন আছে, আরও কিছু দিন চলতে হবে, যাদের কর্মসংস্থান নেই তাদের জন্য। তবে অবশ্যই কর্মসংস্থানকে জোর দিতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাস মহামারির পরে আমাদের তিনটি চ্যালেঞ্জ হলো জীবন, জীবিকা এবং অর্থনীতি বাঁচানো। সরকার এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছে। এর বাস্তবায়ন জরুরি, যেখানে সব খাত আছে। গত ১৩ এপ্রিল প্রণোদনা দেওয়া হলো অথচ আজও এর ফল ভোগ করতে পারছি না। করোনায় দরিদ্র, অতিদরিদ্র ও নিঃস্ব মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। সরকারের নীতি সহায়তা বাস্তবায়নে যত দেরি হবে, দরিদ্র তত বেশি বাড়বে। ফলে তত বেশি দরিদ্র নিয়ে কাজ করতে হবে। এতে আমাদের দেশের অর্থনীতি পিছিয়ে পড়বে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২০
ইএআর/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।