ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য প্রণোদনার অনুরোধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২০
আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য প্রণোদনার অনুরোধ

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে সংশ্লিষ্ট চাষি, খামারি ও উদ্যোক্তাদের জরুরি ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তাসহ সহজ শর্তে সুদবিহীন ঋণ দেওয়ার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলে ‘আম্পান’-এর প্রভাবে মাছ, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক বিবরণ পাওয়া গেছে।

তবে ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুতকরণে যাচাইবাছাই চলছে। এমনিতেই করোনা মহামারির বিরূপ প্রভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগকারীরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন। এরই মাঝে আম্পানের প্রভাবে এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা আরও হতাশ হয়ে পড়ছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে প্রাণিজ পুষ্টির যোগানদাতা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত হুমকির মুখে পড়বে, যার প্রভাব পড়বে গোটা জাতির ওপর।  

এ পরিস্থিতিতে আম্পানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ খাতের চাষি, খামারি ও উদ্যোক্তাদের নগদ আর্থিক প্রণোদনাসহ সহজ শর্তে সুদবিহীন ঋণ প্রদানে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।  

উল্লেখ্য, বরিশাল ও খুলনা বিভাগ হতে প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী ‘আম্পান’-এর প্রভাবে মৎস্য খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৩০৫ কোটি ৫০ লাখ  টাকা। প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতির পরিমাণ ১ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারের সংখ্যা ২৪ হাজার ৩৫০টি। অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামারের সংখ্যা ৫০ হাজার ১৩৮টি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২০ 
জিসিজি/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।