ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রায় ১৪ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব অর্থনীতি সমিতির 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২০
প্রায় ১৪ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব অর্থনীতি সমিতির 

ঢাকা: ২০২০-২১ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় মিলে ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। প্রস্তাবিত এ বাজেট সরকারের চলতি অর্থবছরের বাজেটের ২ দশমিক ৪৭ গুণ বেশি। চলতি অর্থবছরে সরকারের বাজেট ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা।
 

সোমবার (৮ জুন) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই বাজেট প্রস্তাব করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত ও সাধারণ সম্পাদক জামালউদ্দিন আহমেদ।
 
২০২০-২১ অর্থবছরে আমাদের প্রস্তাবিত নতুন ২১টি উৎসের মধ্যে ১৮টি উৎস থেকে (ঘাটতি অর্থায়নের উৎসের ২ খাত বাদে) সরকারের অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হতে পারে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা, যা মোট রাজস্ব আয়ের ২১.২ শতাংশ।

প্রস্তাবিত রাজস্ব আয়ের নতুন উৎসের মধ্যে মাত্র ৪টি উৎস, যেমন ‘সম্পদ কর’ (৮০ হাজার কোটি টাকা), অতিরিক্ত মুনাফার ওপর কর (৪০ হাজার কোটি টাকা), অর্থপাচার রোধ থেকে প্রাপ্তি (৫৫ হাজার কোটি টাকা) এবং কালো টাকা উদ্ধার থেকে প্রাপ্তি (৪০ হাজার কোটি টাকা) থেকেই সরকার মোট ২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করতে পারেন।
 
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমাদের প্রস্তাবনায় বাজেটের আকারই শুধু তুলনামূলক বড় নয়, সেই সাথে কাঠামোগত বড় পরিবর্তন যে ক্ষেত্রে ঘটছে তা হলো, মোট বাজেটে উন্নয়ন ও পরিচালন বাজেট বরাদ্দের অনুপাত। আমাদের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর রাজস্ব প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ১২ লাখ ৬১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। কেউ হয়তো বলবেন ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি অনেক বড় ঘাটতি। এই বিষয়ে অনর্থক কোনো তর্কে অবতীর্ণ না হয়ে (জাপানে বাজেট ঘাটতি ২৫৬%) আমরা বলতে চাই যে যদি কোনো যুক্তিসংগত কারণে ঘাটতি বাজেটে অসুবিধা থাকে। সেক্ষেত্রে বাজেটে ১ পয়সাও ঘাটতি না রেখে আমাদের প্রস্তাবিত রাজস্ব আয় অর্থাৎ ১২ লাখ ৬১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা দিয়েও মোট বাজেট প্রস্তুত করতে পারেন।
 
অর্থনীতি সমিতির প্রস্তাবে আয়:
করোনা ভাইরাসের অভিঘাত মোকাবেলা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সরকারের আয় বাড়াতে হবে এবং সম্ভাব্য কীভাবে তা বাড়তে পারে তা নিয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ধারণাগত মডেল উপঅনুচ্ছেদ ৭.২.৮ এ উপস্থাপনা করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী কর্তৃক পেশকৃত চলমান ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে মোট রাজস্ব ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৮১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা। আর বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি থেকে আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরে এ আয় ৩.৩ গুণ বৃদ্ধি করে ১২ লাখ ৬১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।  

অর্থনীতি সমিতির প্রস্তাবে ব্যয়:
সমাজ ও অর্থনীতির কোন কোন খাত ও ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে এবং পেছনের যুক্তি কী তা নিয়ে সমিতির বিস্তারিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ অনুচ্ছেদ ৭-এ উত্থাপন করা হয়েছে।

শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ১ লাখ ৯৭ হাজার ১২৪ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য খাতে ১ লাখ ২৭ হাজার ১২৪ কোটি টাকা, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা, ৩,৫০০ কোটি টাকা উন্নয়ন ও ১,৫০০ কোটি টাকা পরিচালন বরাদ্দ দিয়ে ‘প্রবীণ হিতৈষী বিভাগ’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা, ঋণের সুদ পরিশোধে ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২০
এসই/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।