ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজারে শারীরিক দূরত্ব মানছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২০
বাজারে শারীরিক দূরত্ব মানছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা

ঢাকা: দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে। তবুও বাজারে মোটেও মানা হচ্ছে না শারীরিক দূরত্ব।

এমনকি অনেকে মুখে মাস্কও পরছেন না। পুলিশের ভয়ে কারো মুখে মাস্ক পরা থাকলেও কথা বলা বা দর-দামের সময় মাস্ক খুলে কথা বলছেন বেশিরভাগ মানুষ।

হাতে থুতু লাগিয়ে টাকা গুনছেন অনেক বিক্রেতা।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শারীরিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে বিপদ আরও বাড়তে পারে। অপ্রয়োজনে কোথাও ঘেরাঘুরি না করারও পরামর্শ তাদের।

শনিবার (১৩ জুন) রাজধানীর খিলগাঁও শাহজাহানপুর মৈত্রী মাঠ, রেলগেট, মালিবাগ বাজার ও রেলগেট সংলগ্ন বাজার এবং রামপুরা বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা। তাদের কেউ কেউ হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক পরলেও অনেকে দু’টির কোনোটিই পরেননি। নেই হাত ধোয়ার কোনো ব্যবস্থা। অনেকে কথা বলার সময় মাস্ক খুলে ফেলছেন। অনেক বিক্রেতা আবার মাল বিক্রির পর টাকা গুনতে থুতু ব্যবহার করছেন।

বাজারে শারীরিক দূরত্ব মানছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা।  ছবি: জিএম মুজিবুরমনির হোসেন নামে খিলগাঁও রেলগেট এলাকার আম ও লিচু বিক্রেতা। তিনি মাস্ক পরলেও সেটি দিয়ে নাক-মুখ না ঢেকে মুখের নিচের অংশ ঢেকে রেখেছেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আসলে অনেক দিন হলো, এখন অনেকেই মাস্ক পরছেন না। আবার মাস্ক না পরলে পুলিশ মাল বিক্রি করতে দেয় না কিন্তু মাস্ক পরা থাকলে ক্রেতারা কথা শুনতে পায় না। ’

কথার ফাঁকে মুখের থুতু টাকায় লাগিয়ে গুনতে থাকেন তিনি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘অনেক দিনের অভ্যাস। তবে এটা না করাই ভালো। ’

মালিবাগ বাজার এলাকার এক ক্রেতা মন্টু। তিনি পরিবারের জন্য বাজার করতে এসেছেন কোনো মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ছাড়াই। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘ভুল করে চলে এসেছি। তবে বাঁচতে হলে অবশ্যই আমাদের সচেতন হতে হবে। ’

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে বিপদ আরও বাড়তে পারে। আমাদের অপ্রয়োজনীয় চলাচল, ঘোরাঘুরি বন্ধ করতে হবে। নিজেকে নিরাপদে রাখতে না পারলে এর মাধ্যমে প্রচুর মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে, অনেকের মৃত্যু ঘটবে। এ অসুস্থতার কারণে মানুষের মধ্যে ভালো থাকার যে অনুভূতি সেটি নষ্ট হয়ে যাবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২০
ইএআর/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।