ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সরকারি টেন্ডারে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২০
সরকারি টেন্ডারে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ দাবি এসবিএমএর সংবাদ সম্মেলন।

ঢাকা: প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্প রক্ষায় সরকারি সব টেন্ডারে দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এসবিএমএ) নেতারা। একই সঙ্গে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শুল্কমুক্ত সুবিধায় তৈরি পণ্য আমদানি বন্ধের দাবি জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

রোববার (১৪ জুন) রাজধানীর বারিধারায় নিজ অফিসে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২০-২১ ঘোষণা পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়। এসবিএমএর সভাপতি জওহর রিজভীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।

লিখিত বক্তব্যে রাশেদ খান বলেন, ‘প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্পে দীর্ঘদিন ধরে এক অসম প্রতিযোগিতা চলে আসছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চহারে কাস্টমস ডিউটি দিয়ে কাঁচামাল আমদানি করলেও বিভিন্ন অর্থনৈতিক জোনে বিদেশি প্রতিষ্ঠান বিনা শুল্কে তৈরি পণ্য আমদানি করছে। শুধু তাই নয় আমদানি করা ডিউটি ফ্রি তৈরিপণ্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো রাজস্ব বোর্ডের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাজারে বিক্রিও করছে। যার ফলে প্রতিযোগিতায় দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ’

সংগঠনের সভাপতি জওহর রিজভী বলেন, ‘স্টিল বিল্ডিং এ দেশীয় অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান থাকলেও সরকারি কোনো টেন্ডারে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এ শিল্পের বিকাশে সরকারি সব টেন্ডারে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি এ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কাস্টমস ডিউটিও কমানো প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনা দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান তিনি। ’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ায় প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্পের কাঁচামাল গত বছরের ডিসেম্বর থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় এ শিল্পগুলো ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। গত ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে বুঝা যাচ্ছে, স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এসবিএমএ) অন্তর্ভুক্ত প্রায় ৩০টি প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসোসিয়েশনের বাইরে আরও প্রায় ২০০টি প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্প প্রতিষ্ঠান ১০ হাজার কোটি টাকার মতো আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ’

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, ‘শিল্পের ‘আঁতুড়ঘর’ হিসেবে খ্যাত প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্প আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। দেশের ৯৯ শতাংশ ফ্যাক্টরি শেড বিল্ডিং বর্তমানে প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং দিয়ে নির্মিত। প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং সাশ্রয়ী, ভূমিকম্প সহনশীল এবং গুণগত মান ঠিক রেখে, অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স ও কমপ্লায়েন্স মেনে ব্যয় সাশ্রয়ী সর্বোপরি স্বল্প সময়ে স্থাপনযোগ্য। এ জন্য শিল্পকারখানা স্থাপনে প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিংয়ের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু এ শিল্পের কাঁচামালের ৯৫ শতাংশ চীন থেকে আমদানি হয়ে থাকে। গত ডিসেম্বরে চীন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর থেকে দেশীয় আমদানিকারকরা নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আট লাখ মানুষ জড়িত। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২০
জিসিজি/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।