ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইস্ট ওয়েস্ট সিডের সঙ্গে এসিআইয়ের যাত্রা শুরু

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২০
ইস্ট ওয়েস্ট সিডের সঙ্গে এসিআইয়ের যাত্রা শুরু ভার্চ্যুয়াল বৈঠক

ঢাকা: সবজি বীজের অন্যতম পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট সিড সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে দেশের অন্যতম সেরা বীজ প্রতিষ্ঠান এসিআই সিডের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে।

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে জানানো হয়, সর্বমোট ৭১ অধিক ফলনশীল উন্নত জাতের বীজ এরইমধ্যে বাজারজাতকরণের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধন করা হয়েছে।

এরমধ্যে হাইব্রিড করলা-পালি প্লাস, ঝিঙ্গা-বীর সুপার, মিষ্টি কুমড়া-সোনাবউ, শসা-তামিম প্লাস উল্লেখযোগ্য।  

এছাড়া হাইব্রিড লাউসহ বিভিন্ন সবজি ফসলের অধিকফলনশীল হাইব্রিড এবং উচ্চফলনশীল জাত রয়েছে, যা বর্তমান প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করবে। এসব জাতসমূহ বাংলাদেশে বিভিন্ন কৃষি-পরিবেশিক অঞ্চলে বিশেষ করে যশোর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামে উপযোগিতা ও উৎপাদনশীলতা পরীক্ষার পর জাত নিবন্ধন করা হয়েছে।

ইস্ট ওয়েস্ট সিডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীলিপ রাজন বলেন, ক্ষুদ্র চাষিরা এ দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে প্রতিনিয়ত বীজের গুণগতমান ও উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণসহ বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আসছেন। আমরা ইস্ট ওয়েস্ট সিড প্রতিকূল আবহাওয়া এবং রোগ ও পোকামাকড় সহনশীলতার সঙ্গে অধিকতর উৎপাদনশীল হাইব্রিড জাত বাজারজাত শুরু করেছি, যা আমাদের চাষিদের আরও ভালো অভিজ্ঞতা দেবে। বর্তমান দুর্যোগপূর্ণ সময়ে সবজি ফসল উন্নয়নের একটি বড় অংশীদার, যা ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের অধিকতর বাজার মূল্যের সবজি উৎপাদনের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে আরও বেশি সাবলম্বী করে তুলবে। বাংলাদেশ ইস্ট ওয়েস্ট সিডের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট।

এসিআই সিডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও ড. এফ এইচ আনসারি বলেন, আমরা বিশ্বের সেরা সবজি বীজ প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্টের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। যারা বিশ্বের সবজি ফসলের ওপরে গবেষণা ও উন্নয়নসহ বীজ উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণে পথিকৃত। বাংলাদেশের বীজ শিল্পে আমাদের দীর্ঘ পদচারণার অভিজ্ঞতা থেকে আশা করছি এ যুগলবন্ধী দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের যুগোপযোগী জাত সরবরাহের মাধ্যমে সারাদেশে সবজি উৎপাদন এবং চাষিদের আয় বাড়াতেও সহায়তা করবে। এ যুগলবন্ধী দেশের পরিবর্তিত জলবায়ু, বাজার ও ভোক্তার চাহিদা মোতাবেক উন্নত প্রযুক্তির বীজ সরবরাহ করবে।  

তিনি বলেন, ইস্ট ওয়েস্ট সিড বিশ্বের অন্যতম পথিকৃত বীজ প্রতিষ্ঠান, যার সারা বিশ্বে অত্যন্ত শক্তিশালী গবেষণা, উৎপাদন ও বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নের সঙ্গে কৃষকের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নেও আমরা বিশেষ অবদান রাখতে পারবো।

বিগত তিন দশকের অধিক সময় ইস্ট ওয়েস্ট সিড গ্রীষ্মপ্রধান সবজি বীজের গবেষণা, উৎপাদন ও বিপণনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। ২০১৯ সালের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ বিজয়ী ড. সায়মন গ্রুটের প্রতিষ্ঠিত ইস্ট ওয়েস্ট সিড বিশ্বের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের গুণগত মানসম্পন্ন বীজ প্রাপ্তিতে নিশ্চয়তা নিশ্চিতের স্বীকৃতি সরূপ ২০১৯ সালে গ্লোবাল একসেস টু সিড ইনডেক্স বিশ্বের এক নম্বর বীজ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২০
পিআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।