ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পুঁজিবাজারের ট্রানজেকশন ৫ হাজার কোটিতে নিতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
পুঁজিবাজারের ট্রানজেকশন ৫ হাজার কোটিতে নিতে হবে

ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, পুঁজিবাজারের লেনদেনে বৈচিত্র্য আনতে হবে। আমাদের এ মার্কেটকে বড় করতে হবে।

দৈনিক এক হাজার কোটি টাকার ট্রানজেকশন কোনো ট্রানজেকশন না। এ ট্রানজেকশনকে দ্রুত তিন থেকে পাঁচ হাজার কোটিতে নেওয়ার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা ও আগামী দিনের করণীয় নিয়ে আয়োজিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। যৌথভাবে ওয়েবিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ মার্চেন্টস ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এবং ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ)।  

বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, এ মুহূর্তে পুঁজিবাজারের যতগুলো সমস্যা রয়েছে সেগুলো সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করার চেষ্টা করতে হবে। সুস্থ, সুন্দর ও স্বচ্ছ পুঁজিবাজার গড়তে দরকার টিম ওয়ার্ক। এ টিমওয়ার্কে স্টোকহোল্ডারসহ সবার সহযোগিতা কামনা করছি। বিনিয়োগকারীকে নিরাপত্তা দিতে হবে। বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগকে নিরাপত্তা দিতে না পারি তাহলে কেন তারা বাজারে আসবে। তবে এখানে বিএসইসি একা কিছুই করতে পারবে না। এজন্য টিমওয়ার্ক করে লক্ষ্য অর্জনে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা ইক্যুইটি ভিত্তিক শেয়ারবাজার থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছি। গত সাড়ে তিন মাসে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সাব-অর্ডিনেটে ও পারপিচুয়াল বন্ড এবং ৮৫০ কোটি টাকার জিরো কূপন বন্ডের অনুমোদন দিয়েছি। এতে করে বাজারের সব কিছু বাড়বে। আমরা আশাবাদী আমাদের নেওয়া উদ্যোগকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা গ্রহণ করেছে ও তারা বাজারে আসছে। শুধু তাই নয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ও বাজারে আসছে ব্যাংক গুলোর ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার কথা থাকলেও দুই-তিনটি ব্যাংক ইতোমধ্যে ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ফেলেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ব্যবসাটাকে সহজ করে দিতে চাই। কিছু দুষ্টু লোক যদি আপনাদের ডিস্টার্ব করে। সেক্ষেত্রে অল্প লোকের জন্য ৯৫ শতাংশ লোকের ডিস্টার্ব হয় সেটি সহ্য করা হবে না। দুষ্টু লোকেরা যেন এখান থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে যেতে না পারে এজন্য সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। পুঁজিবাজারে আমরা তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করেছি। যত তথ্য লাগবে আমরা সেগুলো দেবো। পুঁজিবাজার থেকে কারা নিষিদ্ধ হয়েছে সে তালিকাও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।  

বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী বলেন, মার্কেটকে সাসটেইনেবল করার ক্ষেত্রে আইসিবি বড় রোল প্লে করতে পারে। নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা আইসিবিকে রেস্ট্রাকচারিং করবো। এরপর তারা মার্কেট সাসটেইনেবলের ক্ষেত্রে আরও বড় রোল প্লে করতে পারবে। স্বতন্ত্র পরিচালক দিয়ে ভূমিকা নিয়ে আমরাও বিরক্ত। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কিছু পরিচালককে রিমুভ করা হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী।

ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট শরীফ আনোয়ার হোসেইন এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ড অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হাসান ইমান, ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান, মিনহাজ মান্নান ইমন, সিএমজেএফ সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে কি-নোট উপস্থাপন করবেন বিএমবিএর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান।

ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন সিএমজেএফের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
এসএমএকে/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।