ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রশিক্ষিত-দক্ষ শেফ তৈরিতে বিকশিত হবে পর্যটনশিল্প

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২১
প্রশিক্ষিত-দক্ষ শেফ তৈরিতে বিকশিত হবে পর্যটনশিল্প

ঢাকা: বিশ্বজুড়ে দক্ষ জনশক্তির কদর বেড়েছে। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ শেফ তৈরি হলে তা একদিকে যেমন পর্যটন শিল্পের বিকাশে ভূমিকা রাখবে তেমনি বৈদেশিক আয় ও জিডিপিতেও অবদান রাখবে বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বানসিধর মিশরা।



রোববার (১৪ মার্চ) নেপাল দূতাবাসে অনুষ্ঠিত ‘ডিপ্লোমা ইন গ্লোবাল কালিনারি আর্টস’ সম্পন্নকারী শেফদের সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

‘স্কটিশ কোয়ালিফিকেশনস অথরিটি (এসকিউএ) এবং এলসিসিআই জিকিউ নেপালের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের ‘ইন্টারন্যাশনাল কালিনারি ইনস্টিটিউট’ এক বছর মেয়াদী এ কোর্সটির আয়োজন করে। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।   

ড. মিশরা বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যটনের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ পর্যটনের পরিধিও দিন দিন বাড়ছে। পর্যটনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষঙ্গ হচ্ছে খাদ্য। একেক দেশের মানুষের রুচি ও চাহিদা একেক রকম। বিদেশে বেড়াতে এসে পর্যটকরা ভিন্ন স্বাদের খাবার যেমন খুঁজেন, তেমনি নিজ দেশের খাবারও পেতে চান। সে চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মানের ইনস্টিটিউট; যারা বৈশ্বিক পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে আন্তর্জাতিকসম্পন্ন রন্ধনশিল্পী তৈরি করছেন।

এলসিসিআই-নেপালের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ড. রোশন রাথি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনিতির অন্যতম উৎস হচ্ছে রেমিট্যান্স। দেশের বাইরে বিভিন্ন স্বনামধন্য হোটেল ও রেস্টুরেন্টে কাজ করে এই রেমিট্যান্সের একটা বড় অংশে অবদান রাখছেন বাংলাদেশের শেফরা।  

বাংলাদেশের প্রথম মাস্টারশেফ এবং আইসিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ড্যানিয়েল সি গমেজ বলেন, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের কালিনারি ইন্ডাস্ট্রিকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছেন তারা।  

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে বড় বড় হোটেল-রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। ইন্টারন্যাশনাল পাঁচ তারকা চেইন হোটেলের অনেকগুলোই এখন বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারিত করেছে। ফলে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শেফদের চাহিদা অনেক বেড়েছে। করোনা ভাইরাস (কোভিড) মহামারির প্রকোপ কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে এ চাহিদা বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান এ চাহিদা মেটাতেই স্টকল্যান্ড ও নেপালের দু’টি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কালিনারি ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে গ্র্যাজুয়েশন কোর্স চালু করেছে আইসিআই।  

ঢাকার পর সম্প্রতি চট্টগ্রামেও একটি শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে বলে জানান শেফ ডানিয়েল।

আইসিআইয়ের ট্রেইনিং ডিরেক্টর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদনে কোর্সটি পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিবছর ২টি ব্যাচে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এখানে ইংলিশ ফর কালিনারি আর্টস, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাকশন অ্যান্ড প্রিপারেশন, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ সার্ভিস, বেকারি ও পেস্ট্রি, ফুড কার্ভিং ও আইস কার্ভিং, ইত্যাদি বিষয়ে পাঠদান ও হাতে-কলমে শিক্ষা দেওয়া হয়। এবার কোর্স সম্পন্নকারী মোট ১৭ জন গ্র্যাজুয়েটদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বানসিধর মিশরা।  

২২ জন নতুন শিক্ষার্থীকে ওয়েলকাম লেটার দেওয়া হয়। অতিথি ও কোর্স টিচারদের ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২১
এমআইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।