ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চলমান পরিস্থিতিতে রেন্ট-এ-কারের ব্যবসায় মন্দা!

দীপন নন্দী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২১
চলমান পরিস্থিতিতে রেন্ট-এ-কারের ব্যবসায় মন্দা! সারি সারি মাইক্রোবাস। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: আসন্ন ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর গাবতলী কিংবা সায়েদাবাদ টার্মিনালের মুখে জটলা পাকিয়ে থাকা মাইক্রোবাসে করে ঢাকা ছাড়ছেন অনেকেই। এসব মাইক্রোবাসের কারণে ঈদযাত্রায় রেন্ট-এ-কারের ব্যবসা ভালো নয় বলে জানিয়েছেন এর মালিকরা।

তারা বলছেন, এর বাইরে রাস্তায় পুলিশি ঝামেলার কারণেও চাঙ্গা হওয়ার বদলে মন্দাভাব রয়েছে রেন্ট-এ-কারের ব্যবসায়।  

শুক্রবার (৭ মে) রাজধানীর মুক্তাঙ্গন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে আছে। গাড়ি পার্ক করার পরে যে খোলা জায়গাটি রয়েছে, সেখানে বসে চালকরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে কথা বলছেন। এরই ফাঁকে কথা হলো গাড়িচালক মো. মুজিবুরের সঙ্গে।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মুভমেন্ট পাস ছাড়া আমরা গাড়ি চালায় না। তারপর পুলিশ রাস্তায় ঝামেলা করে। সব চেকপোস্টেই ঝামেলা করে। আরেক চালক মিলন বলেন, সায়েদাবাদ, গাবতলী গিয়ে দেখেন, ওখানে মাইক্রোবাস ভাড়া করে লোকজন বাড়ি যাচ্ছে। ওখানকার গাড়িতে ইচ্ছেমতো ভাড়া নিচ্ছে। বসার কথা নয়জনের, বসাচ্ছে ১২-১৩ জন। কিন্তু ওদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আমরা যারা লিগ্যালি চালাই, আমাদের জন্য যত নিয়ম।

এ বিষয়ে ঢাকা মাইক্রোবাস কার মালিক সমিতির ম্যানেজার জাহিদা হাসান রতন বাংলানিউজকে বলেন, কথা কী বলবো ভাই? সকালে আমারা একটা গাড়িরে হুদাই আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করছে। এখন এ ট্রিপে ড্রাইভার নেবো কী, আর আমি নেবো কী? 

ওই ম্যানেজার বলেন, মুভমেন্ট পাস নিয়ে বের হওয়ার পরও আমাদের গাড়ি আটকে দেওয়া হচ্ছে, জরিমানা করা হচ্ছে। এত গেল রাস্তায় বিষয়। এবার কিন্তু পাবলিকও নেই। গতবার এ সময়ে আমাদের এখানে গাড়ি পাওয়া যেতো না। অথচ এখন দেখেন কত গাড়ি বসে আছে।  

মুক্তাঙ্গনের বিপরীত দিকেও রয়েছে রেন্ট-এ-কারের ব্যবসা। সেখানকার ব্যবসাও ভালো না বলে জানালেন এর গাড়ি মালিকরা। গাড়ির মালিক মো. সারওয়ার বলেন, অন্য ঈদের সময় আমাদের ব্যবসা খুব ভালো থাকে। কিন্তু এবার আমাদের ব্যবসা ভালো না। ঢাকার বাইরে গাড়ি যাইতে গেলে সমস্যার কারণে এবার ব্যবসা ভালো না।  
আরেক গাড়ি মালিক বাবু কুমার দে বলেন, সায়েদাবাদ, গাবতলী থেকে মাইক্রোবাসে করে লোক ঢাকা ছাড়ছে। তারা বাসের চেয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রেন্ট-এ-কার থেকে গাড়ি ভাড়া করছে না। কারণ এ গাড়িতে ১০-১২ জন যেতে পারছে। এ কারণে আমাদের ব্যবসা ভালো না।

এ বিষয়ে সিটি ক্যাব মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর খান বলেন, করোনার কারণে তো এমনিতেই আমাদের ব্যবসা খারাপ। সেসঙ্গে এখন তো ঘরে ঘরে গাড়ি। আবার উবারও রয়েছে। ফলে আমাদের ব্যবসায় টিকে থাকাটাই কঠিন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২১
ডিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।