ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজুসের খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা

নতুন নেতৃত্বে জুয়েলারি শিল্পে সোনালি দিনের হাতছানি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২২
নতুন নেতৃত্বে জুয়েলারি শিল্পে সোনালি দিনের হাতছানি

যশোর: বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে জুয়েলারি শিল্পে সোনালি দিনের হাতছানি দেখতে পাচ্ছেন এ খাতের ব্যববসায়ীরা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।

বুধবার (০২ মার্চ) দুপুরে যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজী পার্ক অডিটোরিয়ামে সংগঠনটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিনিধি সভায় অধিকাংশ জেলার নেতারা বক্তব্যে জুয়েলারি ব্যবসায় বিগত দিনে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরেন। এই শিল্পে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকায় রিফাইনারি প্রজেক্ট স্থাপনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এটা বাস্তবায়িত হলে দেশের জুয়েলারি মালিকরা বৈধভাবে-সন্মানের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাজুসের সাবেক সভাপতি ও বাজুস ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়। স্বর্ণনীতি প্রণয়ন করায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান তিনি। পাশাপাশি বাজুসকে নতুন আলোর দিশা দেওয়ায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের প্রতি সবার পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।

ডা. দিলীপ কুমার রায় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য যে কোনো প্রতিবন্ধকতা প্রতিকারের জন্য বাজুস পাশে থাকবে। তবে দেশের গুটিকয়েক অসৎ ব্যবসায়ীর জন্য এই শিল্পকে ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না। প্রত্যেক বিভাগীয় ও জেলা শহরে স্বর্ণ কারখানা তৈরি এবং পাচার রোধে সতর্ক হওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

বিশেষ অতিথি ও বাজুসের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গুলজার আহম্মেদ বলেন, সংগঠনের মূল শক্তি হচ্ছে ঐক্য। বৈধ ব্যবসার স্বার্থে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের বাজারগুলোর জুয়েলারি দোকানগুলোকেও দ্রুত সদস্য হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।  

কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ এমডি ও বাজুস সভাপতির প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হলে দেশের বাইরের তরল সোনা রিফাইনারি হয়ে দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিস্কুট (বার) ও স্বর্ণালঙ্কার আকারে বহির্বিশ্বেও রপ্তানি করা যাবে। আমদের দেশের স্বর্ণশিল্পীদের হাতের কাজ খুবই সুনিপুণ, যা দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারেও সুখ্যাতি অর্জন করা সম্ভব হবে। কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন বলেন, ব্যবসায়ীদের বেশ কিছু অসুবিধা নিয়ে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সরকারের বিভিন্ন মহলে বৈঠক করেছেন। আশা করছি, যৌক্তিক সমস্যাগুলোর দ্রুতই সমাধান হবে। এছাড়া বাজুস সভাপতির উদ্যোগে গোল্ড ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হলে তার সুফল জুয়েলারি ব্যবসায়ীরাই পাবেন।

বাজুসের যশোর জেলা শাখার সভাপতি ও খুলনা বিভাগীয় প্রধান রকিবুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, বাজুসের মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্সের মেম্বার সেক্রেটারি মিজানুর রহমান মানিক, ল অ্যান্ড মেম্বারশিপের মেম্বার সেক্রেটারি রিপনুল হাসান।  

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার চন্দ্র, নড়াইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কুমার রায়, মাগুরা জেলা শাখার আহবায়ক বিমল কুমার বিশ্বাস, মেহেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ মোমিন, ঝিনাইদহ জেলার সাধারণ সম্পাদক পঞ্চলেশ কুমার পোদ্দার, বাগেরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নিলয় কুমার ভদ্র, চুয়াডাঙ্গা জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাসান জোয়ার্দার, কুষ্টিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক কামাল আহম্মেদ করিম, সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক গৌর চন্দ্র দত্ত, খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শংকর কর্মকার।

যশোরে অনুষ্ঠিত খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় বিভাগের ১০ জেলার বাজুস সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ চার শতাধিক ব্যবসায়ী অংশ নেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২২
ইউজি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।