ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিমা ব্যবসার জন্য উইং খুলতে হবে ব্যাংকে

শাহেদ ইরশাদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২২
বিমা ব্যবসার জন্য উইং খুলতে হবে ব্যাংকে

ঢাকা: যেসব বাণিজ্যিক ব্যাংক বিমা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ব্যাংক ইন্সুরেন্স ব্যবসা শুরু করতে ইচ্ছুক সেসব ব্যাংককে গ্রাহকদের সঙ্গে লেনদেন ও আলোচনার করার জন্য একটি পৃথক উইং চালু করতে হবে।  
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রস্তুত করা খসড়া নির্দেশিকা অনুযায়ী উইংয়ে বিমা শিল্পে বিশেষজ্ঞ কিছু জনবল থাকতে হবে।

চূড়ান্ত হওয়ার পর্যায়ে থাকা খসড়া মোতাবেক, ব্যাংক এবং বিমা কোম্পানির মধ্যে একটি অংশীদারিত্ব হচ্ছে ব্যাংক ইন্সুরেন্স, যা ব্যাংকের গ্রাহকদের কাছে পলিসি বিক্রির মাধ্যমে বিমা ব্যবসার প্রসার করবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) এমন একটি মডেল প্রবর্তন করতে চায়, যা ব্যাংক এবং বিমা কোম্পানি উভয়ের রাজস্ব আয় হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

খসড়া নির্দেশিকা অনুসারে, স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী এবং ব্যাংকিং বা বিমাতে ১২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা একজন অফিসার চিফ ব্যাংক ইন্সুরেন্স অফিসার (সিবিও) হিসাবে শাখার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য যোগ্য হবেন।

তিনি হবে পঞ্চম গ্রেডের মধ্যের একজন কর্মকর্তা কিন্তু ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) নিচে। পদটির জন্য তাকে সার্টিফিকেট এবং প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হবে। ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনানুযায়ী চিফ ব্যাংক ইন্সুরেন্স অফিসারের কোনো অযোগ্যতা থাকবে না।

উইংটিতে কিছু ব্যাংক ইন্সুরেন্স অফিসার বা বিমা কর্মকর্তা থাকবেন। যাদের কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রি এবং বিমা বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ রয়েছে। ব্যাংকগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে যে ব্যাংক ইন্সুরেরেন্স অফিসার বা ইন্স্যুরেন্স এক্সিকিউটিভদের মডেলের ওপর সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত হতে হবে।

উইং অবশ্য কোনো গ্রাহককে বিমা পলিসি নিতে বাধ্য করতে পারবে না। সাধারণ এবং এসএমই গ্রাহকদের বিমা পলিসি গ্রহণের প্রস্তাব করতে পারবেন, কিন্তু কর্পোরেট গ্রাহকদের নয়।

কর্মকর্তারা বিমা পলিসি বিক্রি করার জন্য ব্যাংক গ্রাহকদের কোন বিভ্রান্তিকর তথ্য দিতে পারবেন না এবং ব্যাংক কোন ঝুঁকি-সম্পর্কিত দায় নেবে না সেটাও প্রকাশ করবেন।

১৯৭০ এর দশকে ফ্রান্সে ব্যাংক ইন্সুরেন্স শুরু হয়। প্রতিবেশি দেশগুলো প্রায় দুই দশক আগে ব্যাংক ইন্সুরেন্স চালু করেছে।

বাংলাদেশে এখন ব্যক্তি মালিকানাধীন ৩৪টি লাইফ ইন্সুরেন্স এবং ৪৫টি নন-লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি রয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি লাইফ এবং একটি নন-লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি রয়েছে। দেশে ৬০টি বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে এবং এসব ব্যাংকের দেশব্যাপী শাখার সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২২
এসই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।