ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলার ভ্যাট প্রত্যাহার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২২
ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলার ভ্যাট প্রত্যাহার

ঢাকা: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলার ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, জিনিসের দাম যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে সেজন্য যেসব পণ্যের ওপর ভ্যাট ছিল সেগুলো তুলে নিয়েছি। সরকার থেকে যে সহযোগিতা প্রয়োজন সেটা পূর্ণ মাত্রায় করা হচ্ছে। পাশাপাশি টিসিবি আমাদের সবসময় লাগে না বা প্রয়োজন সারা বছর থাকে না। মাঝে মাঝে প্রয়োজন দেখা দেয়। প্রয়োজন দেখা দিলে সরকারকে ফ্লেক্সিবল অবস্থায় থাকতে হয়। কারণ, যখন যেটা প্রয়োজন দেখা দেয় তখন সেটা আনার ব্যবস্থা করতে পারে। তাই বলতে পারি সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার করছি।

কোন কোন পণ্যের ভ্যাট তুলে নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। মূলত আমাদের রমজান মাসে যেসব পণ্য বেশি প্রয়োজন সেসব পণ্য, কারণ সবাই এগুলো ভোগ করে। ভোজ্যতেল সয়াবিনের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

টিসিবি অনেকগুলো পণ্য কিনবে, কেন কেনা হচ্ছে, পরিকল্পনা কী জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা টিসিবির জন্য জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছি। টিসিবি আমাদের অর্থনীতির ব্যাংকও। একদিকে আমাদের যেমন পণ্য দরকার, পণ্যের স্টক দরকার। তেমনি এই পণ্যগুলো যারা ব্যবহার করবে তাদের কাছে সময় মতো এবং ন্যায্যমূল্যে পৌঁছানো দরকার। আমরা সে কাজটি করছি।

মুস্তফা কামাল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টিসিবি করেছিলেন মানুষের কষ্ট যাতে লাঘব হয়। আপনারা জানেন পৃথিবীতে জিনিসপত্রের অভাবে কোনো বিপদ ঘটে না। বিপদ ঘটে যখন বণ্টন পর্যায়ে কোন ব্যত্যয় হয়। সময় মতো যদি বণ্টন করা না যায় তখন আমাদের গুদামে মজুদ থাকলেও কোনো লাভ হয় না। এজন্য আমরা মনে করি টিসিবির রোল এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই টিসিবির কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়েছে, বণ্টন ব্যবস্থাও আরও বাড়াচ্ছি। প্রতিটা ইউনিয়ন পর্যায়ে টিসিবি নিয়ে যাবো, যাতে কোনো গরিব মানুষ কষ্ট না পায়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এক কোটি পরিবারকে টিসিবির আওতায় নিয়ে আসতে যাচ্ছি। সেখানে ভোজ্যতেল থেকে শুরু করে অন্যান্য যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস লাগবে, সেসব জিনিস আমরা টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে তাদের কাছ পৌঁছে দেব।

তিনি আরও বলেন, মানুষজন কষ্ট পায় বিভিন্ন কারণে। আমাদের যেসব পণ্যের নিজস্ব উৎপাদন হয়, সেটা যদি কম হয় তখন আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। আমরা যেসব পণ্য ভোগ করি সেটা কম হলে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি করে চাহিদা মিটিয়ে থাকি। কিন্তু এখন যুদ্ধ হচ্ছে। এসব কারণ এগুলো আমাদের হাতের বাইরে। আমরা কখনো চিন্তাও করিনি যুদ্ধ লাগবে। এসময় জিনিসপত্র থাকলেও দাম বেড়ে যায়। যেগুলো আসার কথা সেগুলো আসতে পারে না। এছাড়া পণ্য আনার খরচও বেড়ে যায়। পরিবহন ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। ফলে জিনিসপত্রের দাম যা বাড়ার কথা তার থেকে আরও একটু বেশি বাড়ে। কারণ আমদানিকারকরা এ সুযোগটা নেওয়ার চেষ্টা করেন। তারা সবসময় এ কাজটি করে আসছেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এবার আমরা টিসিবিকে আরও ক্ষমতায়ন করার পদক্ষেপ নিয়েছি। বাজারে যদি কোনো মালামাল থাকে, যারা সিন্ডিকেট করে মানুষকে কষ্ট দেওয়ার চেষ্টা করে তারা সে সুযোগ পাবে না। টিসিবির মাধ্যমে যদি আমরা সময়মতো ডেলিভারি করতে পারি এবং ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারি তাহলে আর এমন হবে না। এবার আমাদের উত্তম প্রস্তাব হলো এক কোটি পরিবারকে সুবিধা দেওয়া হবে। আশা করছি, আমরা যেমন করে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করেছি, এটাকেও ঠিক তেমনি করে মোকাবিলা করব।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২২
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।