ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শর্টকাটে ধনী হওয়ার ইচ্ছা থেকেই ই-কমার্সে বিনিয়োগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২২
শর্টকাটে ধনী হওয়ার ইচ্ছা থেকেই ই-কমার্সে বিনিয়োগ

ঢাকা: শর্টকাটে ধনী হওয়ার ইচ্ছা থেকেই ই- কমার্স প্রতিষ্ঠান শ্রেষ্ঠ ডটকমে বিনিয়োগ করেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মো. ফারুক মিয়া।

তিনি বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে পরিশ্রম করে টাকাগুলো জমিয়েছিলাম, আজকে আমি লসে পড়ে গেছি।

এখন আমর শিক্ষা হয়েছে। পরবর্তী প্রজন্মের জন্যও এটা সতর্ক বার্তা। ব্যবসা এত সহজ না। আমার মতো হুজুগে বাঙালি হয়ে বিনিয়োগ করবেন না, এটাই সবার প্রতি আমরা অনুরোধ।

সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শ্রেষ্ঠ.কম এবং আলিফ ওয়ার্ল্ডের পেমেন্ট গেট ওয়েতে গ্রাহকদের আটকে থাকা টাকা ফেরত দেওয়া উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে টাকা ফেরত পাওয়া গ্রাহক তার অনুভূতি প্রকাশকালে এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য-আইআইটি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামানসহ বাংলাদেশ ব্যাংক, সিআইডি, ই- ক্যাপ, এসএসএল, ফস্টারের প্রতিনিধিসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বন্ধ হয়ে যাওয়া ই-কমার্সে পণ্যের অর্ডার দেওয়া আরও ৩৩ জন গ্রাহক তাদের টাকার কিছু অংশ ফেরত পেয়েছেন। এরমধ্যে আলিফ ওয়ার্ল্ডের ২১ জন গ্রাহক ২৬ লাখ টাকা ও শ্রেষ্ঠ ডটকমের ১১ জন গ্রাহক ১৭ লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন।

শ্রেষ্ঠ ডটকমের একজন গ্রাহক মো. ফারুক মিয়া বলেন, তিনি ছয়টি প্রতিষ্ঠানে মোট ৬০ লাখ টাকার পণ্যের অর্ডার করেছিলেন। তিনি একাই ৩০টি মোটরসাইকেল অর্ডার করেছিলেন। আমি ২৪ আগস্ট নগদের মাধ্যমে এসএসএলে পেমেন্ট করেছি। তারা বলেছিলো ৩৫ দিনের মধ্যে পণ্য দেবে। দিতে পারেনি। পরে তারা বারবার সময় দিয়েও ঘুরাচ্ছিলো। আজকে এসএসএলের একটি পেমেন্টের ২ লাখ ৫৩ হাজার ৩১০ টাকা পেয়েছি। অন্যগুলো থেকে কোন টাকা পাইনি।

গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সবাই টাকা বিনিয়োগের আগে একটু চিন্তা করে বিনিয়োগ করবেন। আরেকটা হচ্ছে, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলবেন। যে গাইড করবেন, বাবা, বড় ভাই কিংবা স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে তারপর টাকাটা বিনিযোগ করবেন। আমরা যেটা চিন্তা করি যে, টাকাটা আমি চুপি চুপি ইনকাম করে ফেলবো। আত্মীয়-স্বজন, পরিবারের লোকজন, বন্ধু-বান্ধব জানতে পারলে টাকা ধার চাইবে। বিষয় সেটা নয়, আপনার আয়ের ওপর সবার হক আছে। যতটুকু পারেন সহায়তা করবেন। আমার মতো হুজুগে বাঙালি হয়ে বিনিয়োগ করবেন না। এটাই সবার প্রতি আমরা অনুরোধ।

যশোর থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে আরেক গ্রাহক বলেন, অল্প সময়ে বেশি লাভ করার লোভ করা ঠিক না। এত কিছুর পরও যারা লোভ করবে তারা বোকামি করবে।

এসময় অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ফারুক মিয়াকে উদ্দেশে বলেন, আপনি প্রাইভেট জব করেন, তরুণ মানুষ।  ৬০ লাখ টাকা অন্ধকারের ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। ডিজাস্টার শুরু হয়েছে জুন থেকে, তারপরও আপনি বিনিয়োগ করেছেন। আমরা সচেতন না হলে এ অবস্থান পরিবর্তন হবে না।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমাদের নিজেদের পরিবর্তন হতে হবে, আইন করে এগুলো ঠেকানো যবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মার্চ ২১,২০২২
জিসিজি/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।