ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দাম বেড়েছে মুরগি-সবজির, কমেছে পেঁয়াজ-ডিমের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২২
দাম বেড়েছে মুরগি-সবজির, কমেছে পেঁয়াজ-ডিমের

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে মুরগি, সবজির। কমেছে পেঁয়াজ ও ডিমের দাম।

এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।    

শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে দাম বেড়েছে সবজির। প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।

এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, (গোল) বেগুন ৬০ টাকা, (লম্বা) বেগুন ৬০ টাকা, ফুল কপি প্রতি পিস ৫০ টাকা,  করলা ৮০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বটবটির কেজি ১২০ টাকা ও শসার কেজি ৮০ টাকা, সাজনার কেজি ২৪০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৬০ টাকা ও মটরশুটির কেজি ১২০ টাকা।

এ সব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। কমেছে পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি।

বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের পেঁয়াজ-আলু বিক্রেতা মো. কবির বলেন, বাজারে আলু পিয়াজ আদা রসুন আমদানি থাকায় দাম কম আছে। আগামী সপ্তাহের আবারও দাম বাড়তে পারে।

এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা।

বেড়েছে ডালের দাম। দেশি মুসুরের ডালের কেজি ১৩০ টাকা। গত সপ্তাহে ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১২০ টাকা। ইন্ডিয়ান ডালের কেজি ১০০ টাকা। বেড়েছে খোলা আটার দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা। গতসপ্তাহে আটার কেজি ছিলো ৩৪ টাকা।

এসব বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা। বাজারে কমেছে বেড়েছে চিনির দাম। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এছাড়াও বাজারে বেড়েছে ছোলার দাম। ছোলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

বাজারে দাম কমেছে ডিমের। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। গত সপ্তাহে দেশি মুরগির ডজন বিক্রি হয়েছিল ২১০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।

ডিম বিক্রেতা আশিক বলেন, বাজারের বেচাকেনা কম থাকায় কমেছে ডিমের দাম। ভালো রয়েছে ডিমের আমদানি।

বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৮০ টাকা কেজি। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০টাকা।  

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন, সপ্তাহের মধ্যে কমেছিল মুরগির দাম। শুক্রবার বলে আবারো বেড়েছে মুরগির দাম। এছাড়াও দাম বাড়ার কারণ হচ্ছে বেড়েছে মুরগির খাবারের দাম।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২২
এমএমআই/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।