ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অসময়ের আমে বাজিমাত, কেজি ৫০০ টাকা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২২
অসময়ের আমে বাজিমাত, কেজি ৫০০ টাকা অসময়ের আম। ছবি: বাংলানিউজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: দেশের প্রথম আম সম্মেলন হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট বঙ্গবন্ধু ম্যাঙ্গো মিউজিয়ামে। প্রথম সম্মেলনেই অসময়ের আম চাষ করা চাষিরা আনন্দে উজ্জীবিত।

আর আম বিমুখ অনেকেই আশাবাদি হচ্ছেন আবারো ঘুরে দাঁড়াতে।  

আম সম্মেলনের ৫টি স্টলে ছিল অসময়ের বিভিন্ন জাতের আম। তবে ৬৯ নম্বর স্টলটি ছিল সম্মেলনের কেন্দ্রবিন্দুতে। কারণ এখানেই পাওয়া গেছে টসটসে পাকা আম। দাম একটু বেশি থাকলেও অনেকে হুমড়ি খেয়ে পড়েন সামর্থ্য অনুযায়ী আম নেওয়ার জন্য। স্টলটিতে ১ কেজি পাকা আম ৫শ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। শুধু ৬৯ নম্বর স্টলই নয়, অসময়ের বারি জাতের বিভিন্ন আম ১০২, ৬৭ এবং ৭৮ নম্বর স্টলে ঝুলতে দেখা গেছে। তবে এসব আমগুলো পুরোপুরি না পাকলেও কয়েকদিনের মধ্যেই পেকে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট চাষিরা জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ৬৯ স্টলের মালিক আমচাষি স্বপন আলী জানান, তিনি প্রথম থাইল্যান্ডের কাটিমন জাতের আমের চারা তৈরি করেন লিজ নেওয়া পাঁচ একর জমিতে। পরে আস্তে আস্তে আরও জমি নিয়ে চাষ আরম্ভ করেন বারি জাতের তিনটি, আম্রপালি, হাঁড়িভাঙ্গাসহ অসময়ের বিভিন্ন জাতের আম। এসব আম চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম ওঠার অনেক পরে পাকে তাই দামও বেশি পাওয়া যায়। এছাড়াও কাটিমন জাতের আম বছরে তিনবার ফলন দেওয়ায় এটি একটি লাভজনক ফল।
তিনি জানান, গতবছর করোনার কারণে অধিকাংশ আমচাষি লোকসান গুনলেও তিনি গত বছর আট লাখ টাকা লাভ করেছেন।

বর্তমানে জেলায় আমের মুকুল থেকে গুটি হওয়া আরম্ভ হলেও তার বাগানে আছে পাকা টসটসে আম। যা তিনি ৫শ টাকা কেজিদরে বিক্রি করছেন।

আম সম্মেলন প্রসঙ্গে তিনি জানান, এ সম্মেলনে অন্তত ৮০ কেজি আমের অর্ডার পেয়েছেন। এতে তিনি আনন্দিত। তাই জেলার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হলে এ ধরনের উদ্যোগ প্রতিবছরই দরকার বলে মনে করেন তিনি।

সেইসঙ্গে যারা ক্ষোভে আম গাছ কেটে অন্য ফসল চাষে ঝুঁকছেন বা আম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন, তাদের প্রতি তার মন্তব্য ডিজিটাল মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুরাতন পদ্ধতি বাদ দিয়ে তার মত বিভিন্ন অসময়ের আম চাষ করা উচিত। আর এ মেসেজটি আমচাষিদের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই তার আম সম্মেলনে যোগ দেওয়া।

অন্যদিকে আম সম্মেলনের আয়োজক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  সাকিব আল রাব্বি জানান, গত কয়েকবছর ধরে আমচাষিরা জলবায়ু, করোনাসহ বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ বছরই প্রথমবার আম সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সম্মেলনে চাষি, গবেষক, রপ্তানিকারক, উদ্যোক্তা এবং সফল আমচাষিরা অংশগ্রহণ করায় আম চাষ বিমুখ চাষিরা অনেকটা উজ্জীবিত হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আগ্রহীরা সফল আমচাষিদের আমচাষ ও অসময়ের টসটসে আম বিভিন্ন মাধ্যমে দেখে আগ্রহী হয়ে ওইসব সফল আমচাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। যা জেলার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।