ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সিলেট বোর্ডে এবার রেকর্ড জিপিএ-৫

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
সিলেট বোর্ডে এবার রেকর্ড জিপিএ-৫

সিলেট: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৮৭১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে রয়েছেন ছেলে দুই হাজর ১৮২ জন ও মেয়ে দুই হাজার ৬৮৯ জন।

যা জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে পুরোনো রেকর্ড ভেঙেছে।  

এ বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিন হাজার ৩৩৩ জন। এর মধ্যে ছেলে এক হাজার ৬৯৮ জন এবং মেয়ে এক হাজার ৬৩৫ জন। মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত এক হাজার ২৬ জনের মধ্যে ২৬০ জন ছেলে ও ৭৬৪ জন মেয়ে।  

এছাড়া ব্যবসায় শিক্ষার ৫১২ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর মধ্যে ছেলে ২২৪ জন ও ২৮৮ জন মেয়ে।  

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল ফলাফল প্রকাশ করেন।  

অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল জানান, এবার অতি বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অন্যান্য বোর্ডের তুলনায় আমাদের ফলাফল একটু খারাপ হয়েছে। কিন্তু ২০১৯ সালের তুলনায় এবছর ফলাফল অনেক ভালো হয়েছে। ২০১৯ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল এক হাজার ৯৪ জন। আর পাসের হার ছিল ৬৭ দশমিক ০৫ শতাংশ।

জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা বাড়ার পেছনের কারণ বর্ণনা করে অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র বলেন, অভিভাবকদের সচেতনতার কারণে এ বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এ বছর সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৪০ শতাংশ। বোর্ডে মোট ৬৬ হাজার ৪৯১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৫৪ হাজার ১২২ জন পাস করেছেন। গত বছর সিলেটে পাসের হার ছিল ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। আর জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৭৩১ জন।

প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, গত বছর থেকে এ বছর পাসের হার ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ কমেছে। গত বছর এইচএসসিতে পাসের হার ছিল ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। আর ২০২০ সালে এইচএসসিতে সিলেট বোর্ডে পাসের হার ছিল শতভাগ। এ বছর ৬৭ হাজার ৫৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৬ হাজর ৪৯১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৫৪ হাজার ১২২ জন। এর মধ্যে ২২ হাজার ৮৭৮ জন ছেলে ও ৩১ হাজার ২৪৪ জন মেয়ে। ছেলেদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং মেয়েদের পাসের হার ৮৩ দশমিক ৬১ শতাংশ।  

তিনি বলেন, বিজ্ঞান বিভাগে ১২ হাজার ২৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২ হাজার ১৩৩ জন অংশগ্রহণ করে ১০ হাজার ৯৮০ জন পাস করেছেন। বিজ্ঞানে পাসের হার ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ।

মানবিক বিভাগে ৪৫ হাজার ৪৩৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৪ হাজার ৬৫১ জন অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৩৫ হাজার ৩৫৪ জন।  মানবিকে পাসের হার ৭৯ দশমিক ১৮ শতাংশ। এছাড়া ব্যবসায় শিক্ষায় নয় হাজার ৮৬১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশগ্রহণ করেন ৯৭৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৭ হাজার ৭৮৮ জন। মানবিকে পাসের হার ৮০ দশমিক ২৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৩
এনইউ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।