ঢাকা: কারিগরি ত্রুটির কারণে স্থগিত হওয়া ২০২২ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বৃত্তির ফল প্রকাশ করা হলেও ত্রুটির কারণে তা স্থগিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা-২০২২ এর ফল প্রকাশ করা হয়। কারিগরি ত্রুটির কারণে ফলাফল পুনঃযাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হওয়ায় প্রকাশিত ফলাফল তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করা হয়। প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা-২০২২ এর স্থগিতকরা ফল পুনঃযাচাইক্রমে বুধবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে প্রকাশ করা হয়।
এর আগে প্রকাশিত ফলাফলে যে অসঙ্গতি ছিলো নতুন ফলাফলে সেটা সংশোধন করা হয়েছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দুঃখ প্রকাশ করেছে। মন্ত্রণালয় আশা করে নতুন প্রকাশিত ফলাফল সব বিভ্রান্তি দূর করবে।
২০২২ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় মোট ৮২ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। এরমধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার ও সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি পাবে।
ফল জানবেন যেভাবে:
বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট (www.dpe.gov.bd) এবং মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.mopme.gov.bd) স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে পাওয়া যাবে। ঘরে বসেও মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে জানতে পারবেন ফল।
এজন্য মোবাইলে DPE Thana/Upazila Code No. Roll Number Year লিখে 16222 এ সেন্ড করলে ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় প্রাথমিক বৃত্তি প্রদান করা সম্ভব হয়নি। ২৮ নভেম্বর ২০২২ তারিখে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় ২০২২ সাল হতে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়।
৫ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা, প্রাথমিক গণিত, ইংরেজি ও প্রাথমিক বিজ্ঞান এ চারটি বিষয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট নম্বর ছিল-১০০ এবং সময় ছিল-২ ঘণ্টা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০১ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৩
এমআইএইচ/এসএম