ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি: পর্যাপ্ত সময় নিয়ে আসতে হবে কেন্দ্রে 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২৩
৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি: পর্যাপ্ত সময় নিয়ে আসতে হবে কেন্দ্রে 

ঢাকা: ৪৫তম বিসিএসের  ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুক্রবার (১৯ মে) সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রার্থীদের সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টা ২৫ মিনিটের মধ্যে হলে প্রবেশ করে আসনে বসতে বলেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনন্দ কুমার বিশ্বাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, পরীক্ষার হলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়িয়ে চলার লক্ষ্যে হাজিরা তালিকায় প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর জোড় ও বিজোড় বিন্যস্ত করে এবং প্রতিটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর কক্ষওয়ারি দৈবচয়ন (র‌্যানডম) ভিত্তিতে সাজিয়ে হাজিরা তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। দৈবচয়ন প্রক্রিয়ায় নিজ আসন এবং কক্ষ চিহ্নিত করা কিছুটা সময় সাপেক্ষ। এ পরিপ্রেক্ষিতে নিজ আসন এবং কক্ষ চিহ্নিত করার জন্য প্রার্থীদের পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে নিজ নিজ কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনায় বলা হয়, প্রার্থীদের আট ডিজিট সংবলিত রেজিস্ট্রেশন নম্বর উত্তরপত্রের প্রযোজ্য ঘরে কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দিয়ে লিখে নিচের প্রযোজ্য বৃত্ত ভরাট করতে হবে। প্রতিটি উত্তরপত্রে সেট নম্বরের নির্ধারিত স্থানে সেট নম্বর এবং সেট নম্বরের জন্য নিচের সংশ্লিষ্ট বৃত্তটি মুদ্রিত থাকবে। কাজেই প্রার্থীদের উত্তরপত্রে সেট নম্বর লেখা এবং সেট নম্বরের বৃত্ত ভরাট করার প্রয়োজন হবে না। সকাল ১০টায় প্রশ্নপত্র প্রাপ্তির পর প্রার্থী তার প্রশ্নপত্রের সেট নম্বর এবং উত্তরপত্রের সেট নম্বর অভিন্ন কি না, সেই সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন। প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্রের সেট নম্বর অভিন্ন না হলে সঙ্গে সঙ্গে পরিদর্শককে জানাতে হবে।

প্রশ্নপত্র বিতরণের পর অর্থাৎ সকাল ১০টার পর কোনো প্রার্থীকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। প্রশ্নপত্র দেওয়ার পর পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোন প্রার্থী পরীক্ষা কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না। ।

পরীক্ষা কক্ষে পরিদর্শকরা প্রার্থীর প্রবেশপত্রের ছবি, রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (প্রয়োজনে) পরীক্ষা করবেন। প্রবেশপত্রে উল্লেখিত রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং নাম ঠিকভাবে উত্তরপত্রের মধ্যস্থানে প্রার্থী লিখেছেন কি না এবং প্রার্থীর প্রবেশপত্র ও হাজিরা তালিকার ছবি অভিন্ন কি না, পরীক্ষান্তে তা নিশ্চিত হয়ে পরিদর্শক হাজিরা তালিকায় প্রার্থীর সই নেবেন এবং হাজিরা তালিকায় পরিদর্শকের জন্য নির্ধারিত স্থানে পরিদর্শক সই করবেন। কোনো প্রার্থীর ছবি ও সই প্রবেশপত্র এবং উত্তরপত্রের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের গরমিলসহ কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে প্রার্থিতা বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরীক্ষায় অসদুপায় প্রতিরোধকল্পে প্রার্থীদের নিম্নোক্ত বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে অনুসরণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো: পরীক্ষাকেন্দ্রে বই-পুস্তক, সব প্রকার ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক কার্ড/ক্রেডিট কার্ড সদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বর্ণিত নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনো প্রার্থী পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।

পরীক্ষা হলের গেটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষার দিন উল্লেখিত নিষিদ্ধ সামগ্রী সাথে না আনার জন্য সব প্রার্থীর মোবাইল ফোনে এসএমএস করা হবে।

পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।

কোন প্রার্থী পরীক্ষায় নকল করলে বা মোবাইল ফোন বা কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ প্রবেশ এবং উক্ত প্রযুক্তির মাধ্যমে কোন অসদুপায় অবলম্বন করলে বা কোন অসদাচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স) যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ এর বিধান অনুসরণ করে পরীক্ষায় অপরাধমূলক আচরণের জন্য কমিশনের নীতিমালা-২০০০ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া তাকে ভবিষ্যতে কমিশনের নেওয়া কোনো নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হবে না এবং কমিশন কর্তৃক বিজ্ঞাপিত অন্য কোনো পদের জন্য তিনি আবেদন করতে পারবেন না। প্রয়োজনে মামলা দায়েরপূর্বক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে উক্ত প্রার্থীকে সোপর্দ করা হবে।  প্রার্থীদের কেন্দ্র পরিবর্তনের কোন আবেদন বিবেচনা করা হবে না।

প্রার্থীদের বিশেষভাবে সতর্ক করা হলো যে, উত্তরপত্রে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঠিকভাবে না লিখলে এবং ঠিকভাবে বৃত্ত পূরণ না করলে, কোনোরূপ কাটাকাটি করলে, উত্তরপত্রে ফ্লুইড লাগালে, কোনোরূপ সাংকেতিক চিহ্ন দিলে প্রার্থিতা বাতিল হবে। পরীক্ষায় মোট ২০০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রার্থী প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য এক নম্বর পাবেন। তবে ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে শূন্য দশমিক পাঁচ শূন্য নম্বর করে কাটা হবে। প্রতিবন্ধী প্রার্থীর শ্রুতিলেখক প্রয়োজন হলে প্রার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন থেকে শ্রুতিলেখক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। কমিশনের মনোনীত শ্রুতিলেখক ছাড়া অন্য কাউকে শ্রুতিলেখক হিসেবে পরীক্ষার হলে আনা হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২৩  
এমআইএইচ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।