ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ সহপাঠীর

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
জাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ সহপাঠীর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।  

অভিযুক্তের নাম ফাহিম মো. মুবাশশির।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের (২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী। তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনেন একই বিভাগ ও ব্যাচের আরেক নারী শিক্ষার্থী।

রোববার (২১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের প্রধান অধ্যাপক জেবউননেসা বরাবর এ অভিযোগ জমা দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ১৭ এপ্রিল বিকেলের দিকে ভুক্তভোগী ইন্সটাগ্রাম এবং ফেসবুকে একটি স্টোরি শেয়ার করেন। স্টোরিতে একটি লিঙ্ক দেওয়া ছিলো, যেটিতে ক্লিক করে পরবর্তীতে পরিচয় গোপন রেখে মেসেজ পাঠানোর সুযোগ থাকে। অর্থনীতি বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসান মো. মুবাশ্বির ফাহিম,  ইন্সটাগ্রামে ওই স্টোরির রিপ্লাই-এ  একটি মেসেজ পাঠায়।  

মেসেজটি শুধু যৌন ইঙ্গিতপূর্ণই নয়; পাশাপাশি কুরুচিপূর্ণ ও অপমানজনক ছিল বলেও দাবি ভুক্তভোগীর।

অভিযোগপত্র থেকে আরও জানা যায়, ফাহিমের মেসেজটি লিঙ্কে গিয়ে পরিচয় গোপন করে পাঠানো ছিল না বরং ইনস্টাগ্রাম এর স্টোরির রিপ্লাই এই পাঠানো হয়েছে। তাই ফাহিমের পরিচয়সহই ওই মেসেজটি ভুক্তভোগীর অ্যাকাউন্টে আসে। পরবর্তীতে অন্যান্য সহপাঠীরা ফাহিমকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে প্রথমে অভিযুক্ত স্বীকার করে এই মেসেজটি তার দেওয়া এবং বলে যে, তিনি মজার ছলে মেসেজটি দিয়েছেন এবং এরকম মেসেজ নাকি তিনি আরও অনেককেই দিয়ে থাকেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী, যে আমার সঙ্গে একই বিভাগে একই ব্যাচে অধ্যয়নরত, তার কাছ থেকে এরকম হেনস্থাকর মন্তব্যের সম্মুখীন হওয়া আমার জন্য হুমকিস্বরূপ। অভিযুক্ত যেহেতু বলেছেন তিনি এরকম বার্তা অনেককে পাঠিয়ে থাকেন, আমার পাশাপাশি বিভাগের অন্যান্য নারী শিক্ষার্থীরাও তার সঙ্গে ক্লাস করতে বা পরীক্ষা দিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদক্ষেপ কামনা করি যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় নো টলারেন্স দৃষ্টান্তটি স্থাপিত হয়।

অভিযুক্ত ফাহিমকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

অভিযোগপত্র পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন অধ্যাপক জেবউননেসা।

তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ইতোমধ্যে উপাচার্য মহোদয় অনুমোদন দিয়েছেন তদন্তের জন্য। শীগগিরই তদন্ত কাজ শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮  ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।