ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘দশ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হবে’

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১২

ঢাকা : বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, সামুদ্রিক সম্পদ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ আগামী দশ বছরের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। বঙ্গবন্ধু শ্যামল সবুজ বাংলাদেশ দিয়েছেন, আর শেখ হাসিনা দিয়েছেন বিশাল সমুদ্র সীমানা।

এই সমুদ্র জলরাশি এবং অভ্যন্তরীণ মূল্যবান সম্পদ আহরণ ও তার যথাযথ ব্যবহার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিভাবান ছাত্র-ছাত্রীদের এগিয়ে আসতে হবে।

বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে জবি কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানা এবং প্রাকৃতিক সম্পদ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি  বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। অপার সম্ভাবনার দেশে পরিণত হতে চলেছে। আমাদের দেশের দক্ষ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমুদ্র সীমা ও আকাশ সীমাসহ দেশের সকল সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। ’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যার দিক থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। তাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার আর্থিক সহযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অব্যাহত রাখবে। ”

প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সমন্বয়ে একটি সমুদ্র বিষয়ক গবেষণার জন্য রিসার্চ সেল তৈরি করা হবে। ভবিষ্যতে এখানে সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগ খোলা হবে। ’

সেমিনারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোঃ খোরশেদ আলম বঙ্গোপসাগর সংশ্লিষ্ট সমুদ্র আইন ও সামদ্রিক সম্পদ বিষয়ক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও দুরদর্শিতার মাধ্যমে আমাদের বিশাল সমুদ্র জলরাশি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। সমুদ্র তলদেশে স্বর্ণ, তেল, গ্যাস, ব্রোঞ্জ, পাথর, মৎস্য সম্পদ ও উদ্ভিজ্জ সম্পদ, কপার, নিকেল, ইত্যাদি মূল্যবান সম্পদ রয়েছে। এ সকল মূল্যবান সম্পদ আহরণের জন্য আমাদের গবেষণা করে এগিয়ে যেতে হবে। ’

সেমিনারে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর ক্যাপ্টেন শেখ মাহমুদুল হাসান পিএসসি ‘সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও বঙ্গোপসাগর সংক্রান্ত গবেষণায় বিভিন্ন সংস্থাকে সহায়তার ক্ষেত্রে নৌ-বাহিনীর ভূমিকা’ শীর্ষক বিশেষ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সামুদ্রিক গবেষণার বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা হচেছ। ’

তিনি গভীর সমুদ্রে গবেষণার জন্য একটি বিশেষ জাহাজ নিয়ে সহায়তা করার জন্য  বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।


অনুষ্ঠানে লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু জাফর মোহাম্মদ রুহুল মোমেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ কাওসার আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময় : ১৭৫৫ ঘন্টা, মে ২৩, ২০১২
এমএমএস
সম্পাদনা : অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।