নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রামে শ্রেণিকক্ষে ছেঁড়া কাগজ ফেলার অপরাধে শিক্ষার্থীদের সেগুলো তুলে চিবিয়ে খেতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (০৯ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি মীমাংসা করার নামে অভিভাবকদের বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে উল্টো অপমান করা হয়েছে বলেও দাবি ভুক্তভোগীদের।
জানা যায়, গত সোমবার (০৭ আগস্ট) উপজেলার ওই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে কাগজ ছিঁড়ে খেলা শেষে সেগুলো মেঝেতে ফেলে দেয়। পরে সহকারী শিক্ষক শামসুজ্জামান সুজন শ্রেণিকক্ষে গিয়ে কাগজ পড়ে থাকতে দেখে ক্ষিপ্ত হন। এসময় কাগজ ফেলার জন্য রুনা, তামিম, শাহাদৎ, সুমনা ও সিয়ামসহ কমপক্ষে ১০ জন শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করে তাদের মারপিট করেন তিনি। পরে প্রত্যেককে মেঝেতে পড়ে থাকা কাগজ কুড়িয়ে খাওয়ার নির্দেশ দিলে পিটুনির ভয়ে শিক্ষার্থীরা সেগুলো চিবিয়ে খেয়ে ফেলে।
বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানালে পরে আরও কঠিন বিচার করা হবে বলেও ভয় দেখান ওই শিক্ষক। ছুটির পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আপস রফার জন্য বুধবার অভিভাবকদের ডেকে নেন। কিন্তু সেখানে বিষয়টি মীমাংসার পরিবর্তে উল্টো তাদেরই দোষারোপ করেন তারা।
এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী রুনার দাদা সোহরাব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। স্যারেরা প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের দিয়ে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করিয়ে নিতে পারতেন। কিন্তু বাচ্চাদের এভাবে কাগজ খাওয়ানোটা ঠিক হয়নি।
এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক শামসুজ্জামান সুজন বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীরা কাগজ ফেলে মেঝে নোংরা করায় হালকা শাসন করা হয়েছে। তবে কাগজ খেতে বাধ্য করার বিষয়টি সঠিক নয়।
বড়াইগ্রাম উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি শুনে একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে ওই বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
এসআই