জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য নিয়োগে অনৈতিক প্রভাবের নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
একইসঙ্গে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সুরাহা করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, অর্থের বিনিময়ে নারী শিক্ষার্থীদের ফলাফল বদলে দেওয়া ও নিয়োগে বে-আইনি প্রভাব বিস্তারের অপরাধে অভিযুক্ত ‘একজন শিক্ষক’ উপাচার্যের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। এই স্বীকারোক্তির ফলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আর্থিক অনিয়মের যে অভিযোগ ইতিপূর্বে উঠেছিলো তা মজবুত ভিত্তি পেল। উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে এ ধরণের সংবাদ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য অসম্মানজনক এবং অভিযোগ সত্য হলে বর্তমান উপাচার্য তার পদে থাকার নৈতিক ভিত্তি হারিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়ে বিজয়ী প্রার্থী উপাচার্য হতে পারেননি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনৈতিক অর্থ লেনদেনকারী সুবিধাভোগী ব্যক্তি উপাচার্য হয়েছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের চূড়ান্ত অসম্মান হয়েছে। উপাচার্য নিয়োগে অনৈতিক প্রভাবের অভিযোগটি একটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সুরাহা করার জন্য রাষ্ট্রের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার একটি অডিও ফাঁস হয়। এছাড়া তার কারণেই অধ্যাপক মো. নূরুল আলম উপাচার্যের চেয়ারে বসেছেন বলে অডিওতে মন্তব্য করেছেন জনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩
এমজে