ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ভালুকায় বিতর্কিত শিক্ষাকর্তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিসে অভিযোগ এলাকাবাসীর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
ভালুকায় বিতর্কিত শিক্ষাকর্তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিসে অভিযোগ এলাকাবাসীর

ময়মনসিংহ: প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়ে শিক্ষক-অভিভাবকদের দলাদলিতে অস্থির পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে জেলার ভালুকা উপজেলার ৭১ নং কাদিগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।  

এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে বলেও দাবি স্থানীয়দের।

 

তবে এই অশান্তির নেপথ্যে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের পক্ষপাতমূলক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডকে দায়ি করে জেলা কর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী। এতে তারা ঘটনাটি তদন্তের দাবি জানান।  

রোববার (১৫ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় এই অভিযোগ দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনাটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে দুই পক্ষের দলাদলির কারণে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, যা মোটেও কাম্য নয়।  

এর আগে ওই বিদ্যালয়ের জমিদাতা মো: মজিবুল হক তালুকদারসহ স্থানীয় ৪৬ জন ব্যক্তি স্বাক্ষরিত এই অভিযোগটি দায়ের হয়।

অভিযোগকারীরা জানান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আহমেদ ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বিতর্কিত ও পক্ষপাতমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুপুর আক্তারকে কোনো কারণ ছাড়াই পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে অন্যজনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এতে স্থানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি হয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।  

বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মো. জাকির হোসেন জুয়েল বাংলানিউজকে জানান, কিছুদিন আগে বিদ্যালয়ের জমি দখল ও বাঁশ কেটে নেওয়ার ঘটনা ঘটলে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। পরে ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে মামলা করতে বলেন। কিন্তু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মামলা না করে উল্টো নূপুর আক্তারকে অন্যায়ভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন।  

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়। দায়িত্ব পালনে পক্ষপাতমূলক আচরণের সুযোগ নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবগত আছেন।

একই ধরনের বক্তব্য উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের।

প্রসঙ্গত, এর আগে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আহমেদ ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বিতর্কিত ও পক্ষপাতমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিল করে এলাকাবাসী। এর পর থেকেই ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয় উপজেলাজুড়ে।

আরও পড়ুন >> প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে কাদিগড় বিদ্যালয়, শিক্ষাকর্তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
এসএএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।