ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আসতে পেরে আবেগাপ্লুত জগন্নাথ রায়ের বংশধরেরা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আসতে পেরে আবেগাপ্লুত জগন্নাথ রায়ের বংশধরেরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দানকারী জমিদার জগন্নাথ রায় চৌধুরীর বংশধরেরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): দীর্ঘদিন পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দানকারী জমিদার জগন্নাথ রায় চৌধুরীর বংশধরেরা। আতিথেয়তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিবস উদ্‌যাপন হয়। এ অনুষ্ঠানে সংবাদ প্রকাশের পর আমন্ত্রণ জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  

এ বিষয়ে জমিদার জগন্নাথ রায়ের পরিবারের সদস্য কালিশঙ্কর রায়ের স্ত্রী ভারতী রায় চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুষ্ঠানে আমাদের ডাকা হয়নি। সর্বশেষ সমাবর্তনে ২০১৯ সালে ডাকা হয়েছিল। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ডাকা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা মিলে আজ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। অনুষ্ঠানে গিয়ে আমার পরিবার আবেগাপ্লুত। তবে আমার প্রত্যাশা সামনের দিনগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হয়তো আমাদের ডাকবে। আমরা আর কিছু চাই না। আশা করি এ প্রতিষ্ঠানটি আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে।  

এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্‌যাপন কমিটির সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক মিঠুন মিয়া বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিদাতা জগন্নাথ রায় চৌধুরীর বংশধরেরা অংশগ্রহণ করেছেন। এতে আমাদের আয়োজনে ভিন্নমাত্রা যুক্ত হয়েছে। তাদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলেছে। ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত আয়োজনে তাদের অংশগ্রহণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে এবং যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আজকের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এ পর্যায়ে আসার নেপথ্যে তাদের অবদান অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে জমিদাতা জমিদার জগন্নাথ রায়ের বংশধরদের আমন্ত্রণ না জানানোর খবর প্রকাশিত হয়। সংবাদে আরও তুলে ধরা হয়, একসময়ের প্রতাপশালী জমিদারের বংশধর কালিশঙ্কর রায়ের জীবন কাটছে দুর্দশায়। এ দেশের শিক্ষা বিস্তারে নিঃস্বার্থে কিশোরীলাল নিজের নামে কিশোরীলাল জুবিলি স্কুল ও তার বাবা জগন্নাথ রায়ের নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (তৎকালীণ স্কুল) জমি দেন। অথচ জীবন জীবিকার টানে বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েই চতুর্থ শেণির কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন কিশোরীলালের বংশধরের জামাতা।  

ছেলে না থাকায় সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন বৃদ্ধ কালিশঙ্করের জামাতা বিপ্লব সাহা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত।

এরপরই আমন্ত্রণ পান তারা।  

জানা যায়, বালিয়াটির এক সময়ের প্রতাপশালী জমিদার ও ব্রিটিশ সরকার থেকে রায় খেতাবপ্রাপ্ত কিশোরীলাল রায় চৌধুরী এ দেশের শিক্ষা বিস্তারের জন্য ১৮৬৮ সালে তার বাবা জগন্নাথ রায়ের নামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।  

এরপর কলেজ, তারপর ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে আইন পাশের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়। ১৮ বছরের যৌবন পার হতে চলা এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।