ঢাকা: চলতি বছরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমে গেলেও তা একেবারেই অস্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রোববার (২৬ নভেম্বর) বেলা আড়াইটায় সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
এর আগে সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান এবং বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যা গতবছর ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৯৫ জন, গতবছর পেয়েছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন।
চলতি বছরে জিপিএ-৫ কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবারে সব বিষয়ে এবং পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা হয়েছে। এজন্য গতবারের চেয়ে এবারে পাসের এবং জিপিএ-৫ কিছুটা কম।
তিনি বলেন, আসলে এবারের সংখ্যার সঙ্গে তুলনা করতে হবে করোনা পূর্ববর্তী সময়ের সঙ্গে। সেই সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে আগের চেয়ে ফলাফল আসলে একটু ভালো হয়েছে।
জিপিএ-৫ কমে যাওয়া মেধার সংকট কি না, প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যখন বিষয় কম, কম সময়ে পরীক্ষা হয়েছে তখন সবার প্রস্তুতি অনেক ভালো। আর এবার সব বিষয়ে হয়েছে, পূর্ণ সময়ে হয়েছে। জিপিএ-৫ এর ক্ষেত্রে একটা বিস্তর ফারাক হতেই পারে। এটা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়।
যশোর বোর্ডে পাসের হার কমে যাওয়া নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একাধিক বোর্ড হলে একেক বোর্ডের ফল একেক রকম হয়। শিক্ষামন্ত্রী সেখানে উপস্থিত যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চান।
যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, তাদের বোর্ডে ইংরেজি বিষয়ে পরীক্ষা একটু কঠিন হওয়ায় পাসের হার কম হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৩
এমআইএইচ/এএটি