ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

অবস্থান ধরে রেখেছে মতিঝিল আইডিয়াল

মফিজুল সাদিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১২

ঢাকা: গতবারের মতো এবারও এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে ১১তম স্থান অধিকার করেছে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

কলেজের সর্বমোট পরিক্ষার্থী ছিল ১ হাজার ৫৮৪ জন।

তাদের মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ৫৭৭ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৭ জন। অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬ জন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবং ১ জন মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষা দেয়।

মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৭৯ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার ৫৫.৫০ শতাংশ এবং মোট পাসের হার ৯৯.৯৬ শতাংশ।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে মোট পরিক্ষার্থী ছিল ৮২৪ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬২০ জন।

বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯৯.২৮ শতাংশ, জিপিএ ৫ প্রাপ্তির হার ৭৬.০০ শতাংশ।

মানবিকের ২০২ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০ জন। মানবিক বিভাগে পাসের হার ৯৯.২৮ শতাংশ।

তবে সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ। এ বিভাগের ৫৫৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাসের হার শতভাগ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৯ জন।

আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘আমাদের কলেজে এইচএসসি পর্যায়ে কোনো ছেলে ভর্তি করা হয় না। ছেলেরা পড়ে শুধু এসএসসি পর্যায় পর্যন্ত। সুতরাং, সেই ছেলেদের জায়গা পূরণে অনেক সময় বাইরে থেকে এসএসসিতে কম পয়েন্ট পাওয়া মেয়েদেরও ভর্তি করা হয়। ’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘অনেক সময় আমাদের প্রতিষ্ঠানের মেয়েদেরও এসএসসিতে জিপিএ-৩ পয়েন্ট পেলেও এইচএসসিতে ভর্তি করা হয়। ’’

‘‘আবার অনেক মেয়ে আছে মফস্বল থেকে আসা। তাদের অ্যাডজাস্ট হতে অনেক সময় লেগে যায়। যার কারণে আমাদের আগের পর্যায়েই থাকতে হচ্ছে। ’’

তিনি ‘‘সামনে আমরা আরো ভালো ফলাফল করবো’’ বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তবে ফল প্রকাশের পর কলেজে শিক্ষার্থীদের আনন্দের কোনো সীমা ছিল না। বৃষ্টির মাঝেই সবাই দিনটিকে উপভোগ করেছে। সবাই এক সঙ্গে আনন্দের সঙ্গী করেছে বৃষ্টিকেও।

সারা শরীরে বৃষ্টি মেখে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়ার আনন্দ প্রকাশ করেছে সাদিয়া জাহান যুথি। তার মতে, ‘‘আমার ভালো ফলের জন্য আমি আমার মাকে সব সময় এগিয়ে রাখবো। কারণ, মা আমার পাশে সব সময় ছায়ার মতোই থেকেছেন। এরপর আমি আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং গৃহশিক্ষককে কৃতিত্ব দেবো, যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমি ভালো ফলাফল করেছি। ’’

যুথি ভবিষ্যৎ স্বপ্নের কথা ব্যক্ত করে বলেছে, ‘‘আমি ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই। ’’

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১২
এমআইএস/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।