ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে আনীত যৌন হয়রানির অভিযোগ যাচাইয়ে 'ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি' গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়া ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে ২০২২ সালের মাস্টার্স ব্যাচের ফল ধসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ যাচাইয়ে তিন সদস্যের আরেকটি 'ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি' করা হয়েছে।
রোববার (৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
যৌন নিপীড়নের অভিযোগ যাচাইয়ের কমিটিতে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামানকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন—সিন্ডিকেট সদস্য ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান এবং সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ।
এ কমিটিকে ২ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ফল ধসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ যাচাই কমিটিতে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন—গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ, ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী।
নাম না প্রকাশের শর্তে সিন্ডিকেটের এক সদস্য বাংলানিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিপীড়নের অভিযোগ যাছাইয়ে তিন সদস্যের একটি 'ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি' করা হয়েছে। এছাড়া ফলাফল ধ্বসিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আরেকটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি উপাচার্য বরাবর অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষায় ফল ধসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
১০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী।
যৌন হয়রানির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি নিয়ে বিভাগের শিক্ষার্থীরা ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেন। পরে একাডেমিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ১২ ফেব্রুয়ারি নাদির জুনাইদকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২৪
জেএইচ