ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের স্বপদে বহালের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের স্বপদে বহালের দাবি

ঢাকা: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জোর করে পদত্যাগ, অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক ছুটি, কর্মস্থলে বাধা দেওয়া অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের সসম্মানে স্বপদে বহাল করানোর জন্য সুনির্দিষ্ট প্রজ্ঞাপন জারি ও কর্মস্থলে তাদের নিরাপত্তা চেয়ে ৫ সুপারিশ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষক জোট।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষক জোটের আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম তালুকদার বলেন, গত ৫ আগস্ট পট পরিবর্তন জনিত দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের অপমান, অপদস্ত, হেনস্তা ও মারধর করে জোরপূর্বক পদত্যাগ, অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক ছুটি, কর্মস্থলে বাধাগ্রস্ত ও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষক পদবঞ্চিত হয়ে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছেন। দেশজুড়ে এমন ঘটনায় সত্যিই আমরা বিস্মিত, বিমূঢ় ও স্তম্ভিত।

তিনি বলেন, যেখানে শিক্ষকদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর, সেখানে আজ আমরা নিগৃহীত, নির্যাতিত। দেশের শিশুদের আগামী দিনের সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার ব্রত নিয়ে সততা, নিষ্ঠা ও নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে স্বার্থলোভী লোকদের ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছি আমরা। স্বার্থান্বেষীরা এই সংকটময় পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে, দুষ্কৃতকারীদের সঙ্গে নিয়ে এমন নিষ্ঠুর নির্মম ঘটনা ঘটিয়েছে, যা অস্বাভাবিক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত।

পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষক জোটের এই আহ্বায়ক আরও বলেন, এই অনৈতিক, অন্যায় ও মব জাস্টিসের মতো বর্বরতার কবলে পড়েছি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বল্প বেতনে নিয়োজিত শিক্ষকরা। ফলে কেউ আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। কেউ চাকরি হারিয়ে, পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কেউবা ঘরবাড়ি ছেড়ে দূর-দূরান্তে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এই হয়রানি ও বিপর্যয়কর অবস্থা থেকে আমরা রক্ষা পেতে চাই, নিরাপদে বাঁচতে চাই।

পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষক জোটের দাবিগুলো হলো—
১। পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের এমপিও থেকে নাম কর্তন না করে বেতন-ভাতাদি চালু রাখার ব্যবস্থা করা।

২। পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ অপসারণ বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক ছুটি বাতিল ঘোষণা করা।

৩। সসম্মানে স্বপদে বহাল করে কর্মস্থলের নিরাপত্তা বিধান করা।

৪। অনতিবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বার্থলোভী ও শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা।

৫। পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের সমমানের এমপিওভুক্ত স্কুলে শূন্যপদে বদলির ব্যবস্থা করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।