ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী

আশা খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১২
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী

১৯৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগ। উপমহাদেশে আন্তর্জাতিক সর্ম্পক বিভাগ প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রতিষ্ঠা করা হয়।

প্রতিষ্ঠার ৬৫তম বার্ষিকীতে আয়োজন করা হয় পুনর্মিলনী ২০১২। দিনটি ছিল শনিবার ১৩ অক্টোবর। সহস্রাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকার উপস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এদিন ছিল মুখরিত।

বর্তমানে বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা কর্মরত আছেন বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা কিংবা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হিসেবে। তবে কর্মজীবনের শত ব্যস্ততার মাঝেও তাদের অনেকেই হাজির হয়েছিলেন বিভাগের পুনর্মিলনীতে। তারা যেন উ‍ৎসাহী চোখে খুঁজে বেড়িয়েছেন টিএসসি, কলাভবনের দোতালায়, বিভাগের করিডোরে নিজেদের হারানো অতীতকে। ১৯৬৯-৭০ সালে আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগে ছাত্র হিসেবে ভর্তি হয়েছিলেন রমজুল হক। এখন কর্মরত আছেন অধ্যাপক হিসেবে সেই বিভাগেই। প্রায় চারদশকের শিক্ষকতা জীবনে এখনো রোমাঞ্চিত হন ছাত্রজীবনের রঙিন সেই দিনগুলোর নস্টালজিয়ায়।

পুনর্মিলনী ২০১২’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড. নুরুল মোমেন, পূর্ণমিলনীর কনভেনর আকমল হোসেন এবং বর্তমান চেয়ারম্যান ড. দেলোয়ার হোসেন। এসময় উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নে এই বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। এই বিভাগের শিক্ষকরাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করেন আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগ। ”

বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড. নুরুল মোমেন জানান, “আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগের গণ্ডি শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বাংলাদেশ নয়। বর্তমানে সারা বিশ্বে বীরদর্পে অবস্থান করছে এই বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। ”

শতব্যস্ততার মাঝেও পুর্ণমিলনীতে হাজির হয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টির মধ্যেও কারও আনন্দের মাত্রা কম ছিল না। নিজেদের হারানো অতীতকে মনে গেঁথে ছবি তুলেছেন বিভাগের বর্তমান শিক্ষক আর বন্ধুদের সঙ্গে।

২০০৭ সালে এ বিভাগ থেকে সম্মান পাশ করা ছাত্র শেখ শামস মোরসালিনের ছিল মিশ্র অভিজ্ঞতা। বর্তমানে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত নিজের বিভাগেই। একই সঙ্গে সদ্য ছাত্র জীবন শেষ করা শিক্ষকের মুখে ছিল মিশ্র আনন্দের অনূভূতি। কর্মব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন বিভাগের অন্য শিক্ষক ড. এ এস এম আলি আশরাফ ও আতিকুর রহমান।

বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ও অন্যান্য গবেষণার কাজে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক এ এস এম আলি আশরাফ নিজেকে আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগেরই ছাত্র হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন।

পুরাতনদের সঙ্গে নবীন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ছিল আনন্দ। বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের দেখে সবাই ছিলেন আনন্দে উত্তেজিত, সবার সঙ্গে ছিল ছবি তোলার আগ্রহ। সদ্য অনার্স শেষ করা মাইশা তাসনিমও ঘুরে বেড়িয়েছেন বন্ধুদের সঙ্গে। ফাহমিদা মৌ, রীমা, নুসরাত জারিন, ফারিয়া, ফাহিমা জামালের সাথে ঘুরে বেড়িয়েছেন পুরো টিএসসি। তার মত অন্যরাও বন্ধুদের নিয়ে খুঁজে বেড়ান অনার্স জীবনের সেই প্রাণোচ্ছ্বল সেই দিনগুলোর রেশ।

শিক্ষার্থী, আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগ

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ১৪ অক্টোবর, ২০১২

সম্পাদনা: আহ্‌সান কবীর, আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।