জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শাটডাউনে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা। তবে চালু রয়েছে সব দপ্তরের প্রশাসনিক কার্যক্রম।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শাটডাউনের ঘোষণা দেন। ঘোষণার পর থেকেই কার্যত সব ধরনের পাঠ ব্যবস্থা বন্ধ হয়। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগে কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে জবি শিক্ষার্থীদের আলোচনার কথা রয়েছে। সেখান থেকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত চালিয়ে যাবেন শিক্ষার্থীরা, এমন ঘোষণা দিয়েছেন জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব।

যদিও সোমবার রাতে জবি দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে অনশন করা শিক্ষার্থীরা মন্ত্রণালয়ের সংশোধন করা চিঠিতে সন্তুষ্ট হয়ে অনশন প্রত্যাহার করে নেন।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে জবি ক্যাম্পাসে সরেজমিনে কোনো শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা যায়নি। প্রতিটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা শাটডাউনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে ক্লাসে উপস্থিত হননি। এতে পাঠ কার্যক্রম ও পরীক্ষা বন্ধ হয়ে পড়েছে। দপ্তরগুলো খোলা থাকলেও সীমিত কার্যক্রম দেখা গেছে।

শহিদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের মেইন গেটে তালা লাগিয়ে শাটডাউন লেখা ব্যানার সাঁটানো রয়েছে। তবে পকেট গেট খোলা রয়েছে।

জবির ছাত্র-কল্যাণ দপ্তরে গিয়ে কথা হয় কম্পিউটার কাম অপারেটর হাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। সীমিত আকারে চলমান রয়েছে কার্যক্রম। এর মাঝেও যারা আসছে তাদেরকে সেবা দিচ্ছি। বিভিন্ন দপ্তরের চিঠি চালাচালি হচ্ছে।

শাটডাউনের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসতে বিভিন্ন রুটে নিয়মানুযায়ী ছেড়ে গেছে ক্যাম্পাস বাস। জবির পরিবহন দপ্তরের ডেপুটি রেজিস্টার মুনসুর আলম বলেন, নিয়মানুযায়ী জবির বাস সকালে শিক্ষার্থীদের আনতে গিয়েছিল। আগামীকালও যাবে। তবে আজকে বিকেলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাস ক্যাম্পাস ছেড়ে যাবে কিনা বলা যাচ্ছে না। যদি কোনো রুটে যাওয়ার মতো শিক্ষার্থীদের পায়, তাহলে বাস যাবে। অন্যথায় বাস যাবে না।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন বলেন, কমপ্লিট শাটডাউনের মধ্যেও এ কাজ চলমান। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে কোনো ফাইল পেন্ডিংয়ে থাকে না। সিটিজেন চার্টার সময় অনুযায়ী আবেদনের এক সপ্তাহের মধ্যে সার্টিফিকেট, মার্কশিটসহ সব সেবা সম্পন্ন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
এমজে