ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

শিক্ষা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রাখার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রাখার দাবি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন অতিথিরা

বরিশাল: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ীভাবে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রাখার দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।  

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শিফা নুর ইবাদির মৃত্যুতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে এ দাবি জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স হলে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এর আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।

এ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শিফা নুর ইবাদির মরদেহ গত ৯ জুন গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের করিডোরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

তার মৃত্যুতে দোয়া ও মোনাজাতের আগে বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া দোয়া ও মোনাজাতে উপস্থিত শিক্ষার্থীর বাবা শাহজাহান রাঢ়ি কন্যার আত্মহত্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

একই দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক ইমরান হোসেন বলেন, শিফা নুর ইবাদিকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। কে বা কারা এটা করেছে, এর অনুঘটক কারা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত নিজে থেকে তা উদঘাটন করা।

দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ মো. মামুন অর রশিদ বলেন, তোমরা একটা কথা মনে রাখবে তুমি শুধু তোমার না, তুমি তোমার পরিবারের এবং আমাদের সবার। তোমরা সবার সঙ্গে সবার যোগাযোগ রাখবে।

উপ-উপাচার্য ড. গোলাম রাব্বানী বলেন, শিক্ষার্থীদের সব সমস্যা সমাধানে পাশে রয়েছি। শিক্ষার্থীদের দাবি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করবো।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় মিলাদ মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. এটিএম রফিকুল ইসলাম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফরহাদ উদ্দিনসহ শিক্ষার্থীরা।

দোয়া ও মোনাজাতে শিফা নুর ইবাদির আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
এমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।