ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষাকে মৌলিক অধিকারের আইনি আওতায় আনা হচ্ছে: মেনন

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১২
শিক্ষাকে মৌলিক অধিকারের আইনি আওতায় আনা হচ্ছে: মেনন

ঢাবি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু এগুলো মৌলিক অধিকারের আইনি আওতাভূক্ত নয়।

শিক্ষাকে মৌলিক অধিকারের আইনি আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার মতো খাদ্যকেও মৌলিক অধিকারের আইনি আওতাভূক্ত করা প্রয়োজন।

বুধবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ‘দারিদ্র্য বিরোধী মঞ্চ’ আয়োজিত ‘সবার জন্য খাদ্য প্রচারাভিযান’-এর উদ্বোধনী কর্মসূচির শেষ দিনে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস উপলক্ষে ‘সবার জন্য খাদ্যে’র দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মেনন আরও বলেন, আমাদের দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের সঙ্গে সঙ্গে দারিদ্র্যের হারকেও হ্রাস করতে হবে দ্রুততার সঙ্গে। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচিতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। মৌলিক চাহিদাগুলোকে অধিকারের হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অবিলম্বে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।

সমাবেশের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, সকল মানুষকে শিক্ষিত করে তুলতে পারলে আমরা সচেতন হব এবং এক সঙ্গে দাবি আদায়ের জন্য কাজ করতে পারব। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল সবাই সমাজ সুযোগ পাবে, এরজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি উত্থাপন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বাড়লেও বাংলাদেশে এ হার কমেছে। তবে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা হ্রাসের জন্য আমাদের এখনও অনেক কিছু করার আছে। সকল মানুষকে মানবমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম তার বক্তব্যে বলেন, খয়রাত দিয়ে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব নয়। সারা বছর মানুষের কাজের নিশ্চয়তা দিতে হবে। দারিদ্র্যের মূলে আমাদের আঘাত করতে হবে। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে মধ্যস্বত্তভোগীদের দৌরাত্ম দূর করতে হবে। সরকারের কার্যক্রমের দুর্নীতি দূর করতে হবে। সংবিধানে এমন বিধান যুক্ত করা হোক যাতে সরকার বাধ্য হয় মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণে।

জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে সেজন্য নয়। এ মঞ্চের দাবির সঙ্গে তিনি একমত পোষণ করে বলেন, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে এ লড়াই সকল দল-মতের মানুষের।

বর্তমান সরকার উত্তরবঙ্গের মঙ্গা দূর করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকারের উদ্যোগগুলোকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।    

সমাবেশে দারিদ্র্য বিরোধী মঞ্চের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুহম্মদ হিলালউদ্দিন, মহসিন আলী, রঞ্জন কর্মকার, নুমান আহমেদ খান, ড. নিতাই দাস, রতন সরকার, ড. নীলুফার বানু, মনীষা বিশ্বাস প্রমুখ।
দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কামরাঙ্গিরচরের বস্তিবাসী মো. আব্দুল হক ও মুক্তা বেগম। তারা খাদ্যসহ তাদের ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। সমাবেশ শেষে অনুষ্ঠিত হয় মশাল শপথ।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১২
সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।