ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

আজ হারিয়ে যাওয়ার দিন...

গোলাম রসূল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫
আজ হারিয়ে যাওয়ার দিন... ছবি: রাজীব/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: “আজকের দিনটি আমার জীবনের সেরা দিন। আজ আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

আমি গ্রাজুয়েট হয়েছি। তাই আজকের দিনটি বাবাকে উৎসর্গ করছি। ”

শিক্ষা জীবনের সমাপ্তিতে আবেগপ্রবণ হয়ে ওপরের কথাগুলো বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ২০০৮-০৯ সেশনের শিক্ষার্থী সানজিদা খালেক।

মঙ্গলবার (জানুয়ারি ১৩) ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৪৯তম সমাবর্তন। এবারের সমাবর্তনে সানজিদা খালেকের মতো ছয় হাজার শিক্ষার্থী শিক্ষা সমাপ্তি সনদ লাভ করে।

সমাবর্তন উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন এলাকাসমূহ সরগরম হয়ে ওঠে। কার্জন হল, টিএসসি, রাজু ভাস্কর্য, গ্রন্থাগার, শহীদুল্লাহ হল, কলা ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি স্থান পরিণত হয় গাউন পড়া গ্রাজুয়েটদের অপরুপ মিলনমেলায়।

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে সমাবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষা সনদ লাভ করার। আর তাইতো কাঙ্খিত এই দিনটিকে স্মৃতিতে অম্লান করার জন্য ছবি তুলতে ভুলেননি কোন শিক্ষার্থী। বিভাগের সকলে মিলে গ্রুপ ছবি, হাসি, আনন্দ আর খুঁনসুটিতে পরিপূর্ণ ক্যামেরার প্রতিটি ক্লিক। বাদ যায়নি সেলফিও।

বরাবরের মত এবারও সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মিলনমেলার প্রাণকেন্দ্র ছিল কার্জন হল। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদিনই সেখানে সনদপ্রাপ্তদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। হাজারো শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখর হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী ক্যাম্পাস। কার্জন হল প্রাঙ্গনের বাগানের ফুলগুলো নিজেদেরকে যেন মেলে ধরেছিল প্রিয় শিক্ষার্থীদের বরণ করার জন্য।

এবারের সমাবর্তন থেকে সনদ গ্রহণ করেছেন ঢাবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০০৮-০৯ সেশনের ছাত্র শওকত হোসেন। জানালেন তার একটাই স্বপ্ন। আর সেটি হল বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের মাধ্যমে সরকারী কলেজের শিক্ষক হওয়া। মুখের অভিব্যক্তি দেখেই বুঝা যাচ্ছিল স্বপ্ন পূরণের পথে তিনি অনেকখানি এগিয়ে।

ঢাবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্র সুমন চৌধুরী তার আনন্দ প্রকাশ করে জানালেন দিনটি তার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তবে কষ্টও হচ্ছে কারণ প্রিয় ক্যাম্পাস ও মুখগুলোকে ফেলে চলে যেতে হবে।

টিএসসিতে আনন্দে মাতোয়ারা ডা. পাপন, ডা. ফাহমিদা, আমিন, হৃদি ইসলাম, আবিদ হাসান ও জিয়াউদ্দিন ইকবালের এখন একটাই স্বপ্ন জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে মানুষের কল্যাণে কিছু করার। আর আজকের দিনটি হারিয়ে যাওয়ার।   

বাংলাদেশ সময়: ০৫২২ ঘন্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।