ঢাকা: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ‘প্রশ্ন’ ফাঁস বা ভুয়া প্রশ্ন তৈরি করে যেন কেউ বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে সেজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মনিটর করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
ফেসবুক ছাড়াও অন্য কোনোভাবে যেন কোনো চক্র প্রশ্ন ফাঁস করতে না পারে সেদিকেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
আর পরীক্ষার সময় এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা রাখা হবে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা।
প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থী নিয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুই দিন পিছিয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপি জোটের অবরোধ-হরতালের কারণে প্রথম দু’দিনের ১২টি বিষয়ের পরীক্ষা পেছানো হয়।
পরীক্ষা উপলক্ষে ২৯ জানুয়ারি থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয় বলে জানান এর ইনচার্জ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (মাধ্যমিক) গৌতম কুমার।
পাবলিক পরীক্ষার সময় কেন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে অনুপস্থিত-বহিষ্কার শিক্ষার্থী-শিক্ষকের সংখ্যা জানানো হলেও গত প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি-জেডিসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের পর এবার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ আরও শক্তিশালী করা হয়েছে বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গৌতম কুমার বাংলানিউজকে বলেন, কম্পিউটার প্রোগ্রামাররা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক ওয়েবসাইট মনিটর করছে। প্রশ্নের নামে বিভিন্ন পাতার ইউআরএল থেকে তা ডাউনলোড করা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত ২-৩টি ইউআরএল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তার।
সচিবালয়ে ৬ নম্বর ভবনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১৭২২ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা সংক্রান্ত এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বর: ৯৫৪৯৩৯৬ ও ০১৭৭৭৭০৭৭০৫, ০১৭৭৭৭০৭৭০৬।
এছাড়া, সার্বক্ষণিক যে কেউ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ই-মেইলে (examcontrolroom@moedu.gov.bd) যোগাযোগ করতে পারবে।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষে অনেক অভিযোগ আসছে জানিয়ে গৌতম কুমার বলেন, সংশ্লিষ্ট ফোন নম্বর এবং ইউআরএল বিটিআরসি এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। পরীক্ষার দিনগুলোয় চারজন দায়িত্ব পালন করবে।
এই কর্মকর্তা বলেন, বিকাশের মাধ্যমে এক হাজার টাকা দিলে প্রশ্ন পাওয়া যাবে বলে একটি অভিযোগ আসে। ওই নম্বরটিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোবাইল ট্র্যাক করে অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে পারবে বলে আশা করেন গৌতম কুমার।
তিনি বলেন, এবার প্রশ্ন ফাঁসের কোনো গুজব নেই। পুলিশ এবং ৠাব সার্বক্ষণিক সহায়তা করছে।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ভাল রেসপন্স পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (মাধ্যমিক-২) রুহী রহমান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, পরীক্ষার সময় প্রয়োজনে ২৪ ঘণ্টা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা রাখা হবে।
যুগ্মসচিব (মাধ্যমিক-১) জাকির হোসেন ভুঁঞা বলেন, ফেসবুকে যে লিঙ্ক আসছে তা ডাউনলোড করে বিটিআরসিকে জানানো হচ্ছে। প্রশ্নের নামে যে লিঙ্ক পাওয়া যাচ্ছে তা বানান ভুল এবং পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে সঙ্গতি নেই। বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য এগুলো করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৫
** ফেসবুকে ‘প্রশ্ন’ ফাঁসকারী চিহ্নিত