ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বাকৃবি ভিসিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা

বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৫
বাকৃবি ভিসিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাকৃবি (ময়মনসিংহ): বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভিসি অধ্যাপক ড. রফিকুল হকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম’।  
 
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

এ সময় ভিসির পদ থেকে তার পদত্যাগ দাবি করে সংগঠনটি।
 
সংবাদ সম্মেলনে ভিসির বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন, স্বেচ্ছাচারিতা, নিয়োগে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দুর্নীতির অভিযোগ এনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে এম শামসুদ্দীন।  
 
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কয়েকদিন আগে নারী কেলেঙ্কারির প্রমাণ হিসেবে কিছু আপত্তিকর ছবি, কথোপকথনের অডিও ক্লিপসহ নানা অপকর্মের তথ্য পাওয়া গেছে।  
 
এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার এক জরুরি সভা ডেকে তাকে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়। সেই সঙ্গে তার পদত্যাগ দাবি করে শিক্ষক ফোরাম।
 
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অসত্য প্রমাণের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় শিক্ষক সংগঠনটি। কিন্তু ভিসির পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির নারী কেলেঙ্কারির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে শিক্ষক সংগঠনটি।
 
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ভিসির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তি দাবি করা হয়। কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র মোদক বলেন, ভিসির মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে। সমাজকে কলুষিত করেছেন তিনি।  
 
অনৈতিক কার্যকলাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সম্পৃক্ততার কথায় বিস্ময় প্রকাশ করে অধ্যাপক ড. কাজী শাহানারা আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, শিক্ষিকা, নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বর্তমানে কতটুকু নিরাপদ তা নিয়ে আমরা সন্দিহান। অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
 
এদিকে, উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সংগঠনটি। আগামী রোববারের মধ্যে ভিসি পদত্যাগ না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
 
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. রফিকুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে আমাকে ভিসির পদ থেকে অপসারণের জন্য বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমাকে কোনোভাবেই সরাতে না পেরে এবার নারী কেলেঙ্কারির অপবাদ দিচ্ছে। আমি তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।