ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি

ষ্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৫
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি ছবি : শাকিল/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণসহ মোট ৬ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ন্যাশনাল টিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ (বিএনটিসি)।
 
শুক্রবার (২০ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।



এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. বদর উদ্দিন হাওলাদার।
 
লিখিত বক্তব্য পাঠ করার আগে বদর উদ্দিন হাওলাদার বলেন, বেসরকারি ও সরকারি শিক্ষকদের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য আমাদের অসহনীয় করে তুলেছে।

তিনি বলেন, শতকরা দুই শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদানে নিয়োজিত সরকারি শিক্ষক কর্মচারীরা পেনশন, গ্রাচ্যুইটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড, সার্ভিস বেনিফিট, টাইম স্কেল, উচ্চতর বেতন প্রবৃদ্ধি, চিকিৎসা ভাতা, বাড়ি ভাড়াসহ সরকারের নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।
 
পক্ষান্তরে ৯৭ ভাগ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীগণ ৯৮ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদান করে বিনিময়ে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, পেনশন ও শিক্ষক কল্যাণের নামে যত সামান্য কিছু টাকা পাচ্ছেন। যা সরকারি শিক্ষক কর্মচারী ও প্রজাতন্ত্রের অন্যদের প্রাপ্যের তুলনায় অনেক গুণ কম।

এ সময় তিনি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির দৌরাত্ম তুলে ধরে বলেন, ম্যানেজিং কমিটি নামক দৈত্যের হাত থেকে আমরা রক্ষা পেতে চাই।

বিএনটিসির ৬ দফাগুলো হলো

১. শিক্ষা জাতীয়করণের লক্ষে অবিলম্বে বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ করতে হবে। পাশাপাশি স্বতন্ত্র পে-স্কেল ঘোষণাসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিকালীন বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীত করতে হবে।
 
২. বেসরকারি ও সরকারি শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, পদমর্যাদা, পদোন্নতি ও বেতন বৈষম্য দূরীকরণসহ সরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের মতো বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদেরও সরকারি অফিস, দফতর, পরিদপ্তর ও অধিদপ্তরসমূহে আনুপাতিক হারে ডেপুটেশন প্রদান করতে হবে।
 
৩. বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি, ক্ষেত্রমতে গভর্নিং বডির বিদ্যমান প্রশাসনিক ব্যবস্থায় সংস্কার করে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো পরিচালনা পদ্ধতি চালু করতে হবে।
 
৪. সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশন ফি ও অন্যান্য প্রদেয় অর্থের পরিমাণ ও সুযোগ-সুবিধা ভোগে সমতা বিধান নিশ্চিত করতে হবে।
 
৫. ১৯৯৬ সালের জনবল কাঠামো মোতাবেক অবিলম্বে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তকরণ, প্রয়োজনীয় সংখ্যাক শাখা অনুমোদন, বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ ও এমপিওভুক্তকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
 
৬. বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত পদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।

এ সময় তিনি জানান, দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে আগমী সপ্তাহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
 
সংগঠনের আহ্বায়ক বদর উদ্দিন হাওলাদার সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার যদি আমাদের দাবি-দাওয়া মেনে না নেয় তবে বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে আন্দোলন কমিটি গঠনের মাধ্যমে পরবর্তীতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
 
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সদস্য সচিব ড. মো. ইদ্রিস আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক দীন মোহাম্মদ ও  নুরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।