ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রঙিন স্বপ্নের শুরু যেখানে

আনতারা আনজুম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৫
রঙিন স্বপ্নের শুরু যেখানে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কলেজের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার রঙিন স্বপ্ন থাকে সবারই। সেই স্বপ্নের প্রথম রঙ যেন প্রথম বর্ষের নবীনবরণ অনুষ্ঠান।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির উৎকণ্ঠা, পছন্দের বিষয়ে ভর্তির রোমাঞ্চ আর হতাশা, নতুন ক্লাস, কলেজের কঠিন শাসন পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত জীবনে ধাতস্থ হতে হতে চলে আসে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। এমনই এক আনন্দ রণে মেতে উঠেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সর্ম্পক বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীরা। গহত ২২ মার্চ ২০১৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া নবীন আর মার্স্টাস শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে।

সাত সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে দেখা মেলে নবীন আর তারুণ্যের মেলা। সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী। । একদিকে মার্স্টাস পাশ করা শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে সামনে স্বপ্ন দেখছে।

অন্যদিকে নবীনরা সামনের সম্ভ‍াবনাময়ী ক্যারিয়ারের প্রত্যাশা, রঙিন স্বপ্ন দেখতে শুরু করতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল বিভাগের শিক্ষকদের 'কঠিন' সব পরামর্শ। এরপরে ছিল মার্স্টাস শ্রেণি পাশ করা শিক্ষার্থীদের বিদায়।

জুনিয়রদের ঊষাণ আপু, টুই আপু, তারেক ভাই, ফাহাদ ভাই, পিয়াল ভাইসহ আরও কত 'ভাইয়া' আর 'আপু'দের নাম ডাকাডাকি ছিল পুরোটা সময় ধরে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কে পড়াশোনার ভবিষ্যত আর ক্যারিয়ার নিয়ে সিনিয়রদের পরামর্শ ছিল জুনিয়রদের। সকালের সেশন শেষ করে দুপুরে শুরু হয় বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এই নবীনবরণ অনুষ্ঠানের জন্য কয়েক সপ্তাহের প্রস্তুতি। নাওয়া খাওয়া পড়াশোনা ছেড়ে গান, নাচ, নাটক আর সিনেমার রিহার্সেলই যেন জীবন হয়ে উঠেছিল শিক্ষার্থীদের। শুধু নবীনরাই নয়, দ্বিতীয় বর্ষ থেকে শুরু করে মার্স্টাস পর্যন্ত সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের যেন ঘুম হারাম হওয়ার মত অবস্থা।

কি ছিল না কয়েক ঘণ্টার পরিবেশনায়। নাটক, সিনেমা, শো আরো কত কি! পড়াশোনার বাইরে কে কত 'পাকনা' তাই ছিল দেখার বিষয়।

গান, অভিনয় কিংবা নাচানাচিতে ছিল না শিক্ষকদের কড়া নজর। আনন্দ-মাতামাতির পাশে ছিল ছবি তোলার তুমুল পাল্লা। গ্রুপ ছবি, একা ছবি, সিনিয়দের সঙ্গে জুনিয়রদের ছবি, সেলফি-সব নিয়ে ছিল ক্যামেরার হাঁসফাঁস জীবন। আর ছিল প্রাক্তণীদের অংশগ্রহণ। 'নিজের বিভাগের অনুষ্ঠান আর আসবো না'- এমন হয় নাকি? তাই তো ব্যাংকের চাকরি, ব্যস্ত অফিস ছেড়ে প্রাক্তণীদের দেখা গেল টিএসসির মাঠে।

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার চাঁদ আকাশে উঠলে ভাঙে রঙিন সময়টুকুর বাঁধ। সবাই ক্লান্ত, ছিল চোখে আগামীর স্বপ্ন। কেউ স্বপ্ন দেখছিল পাঁচ বছরের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের। আবার কেউ স্বপ্ন দেখছিল  পড়াশোনা শেষের অনিশ্চিত ক্যারিয়ারের সুন্দর সমাপ্তির। সবাই স্বপ্ন ছোঁয়ার সাহস নিয়েই এগিয়ে যায়, ধীর পায়ে হাত মুঠি করে সামনের আলোর দিকে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।