ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ছাত্র পিটুনির প্রতিবাদে শিক্ষককে গণপিটুনি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৫
ছাত্র পিটুনির প্রতিবাদে শিক্ষককে গণপিটুনি ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘায় বনভোজনের চাঁদা না পেয়ে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে মারপিট করার ঘটনায় স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়েছে।

শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনার পর পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেছে।



রাজশাহীর বাঘা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান জানান, উপজেলার চণ্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে ২৯ মার্চ বনভোজনের আয়োজন করা হয়।

প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামসহ সব শিক্ষকরা শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা চাঁদা নির্ধারণ করেন। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এ চাঁদা তোলার জন্য প্রধান শিক্ষক সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে দায়িত্ব দেন।

তবে বিদ্যালয় চত্বরে বনভোজন করতে দ্বিমত পোষণ করে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী চাঁদা দেবে না বলে জানালে শিক্ষক মোহাম্মদ আলী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষক মোহাম্মদ আলী ওই বিদ্যালয়ের পিয়াস, রাকিব, রুমা, পারভেজ, সেলিম, মাহফুজা, শামিম, রাজু, রিয়া, বৃষ্টি, আসিব, স্বপন, শাবনুর, চৈতী ও রাহিদসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে পেটান।

খবর ছড়িয়ে পড়লে অবিভাবকসহ স্থানীয় লোকজন ওই শিক্ষককে ধাওয়া করলে তিনি অফিস কক্ষে খিল মেরে প্রাণে রক্ষা পান। পরে বিক্ষিপ্ত জনতা প্রধান শিক্ষককে মারপিট করে আহত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে।

ঘটনার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষক মোহাম্মদ আলীর মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ থানা পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

চণ্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল ফজল জানান, যেভাবে শিক্ষার্থীদের পেটানো হয়েছে সেটা খুব দু:খজনক। তিনি নিজেই মারপিটের সঙ্গে জড়িত শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে চাকুরিচ্যুত করাসহ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দাবি জানিয়েছেন।

বাঘা থানার ওসি আমিনুর রহমান আরও জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ আলী চাকরি থেকে অব্যহতিপত্র লিখে দিলে এবং সেটি স্কুল মাঠে মাইক এনে জনতার উদ্দেশ্যে জানানোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষককে আটকও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র হালদার জানান উপজেলা প্রশাসনের পক্ষই থেকে বিষয়টি তদন্ত করে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময় : ১৫৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।