ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে ভাঙচুর-অবরোধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৫
পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে ভাঙচুর-অবরোধ ছবি : বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

পাবনা: অনার্স ৩য় বর্ষের পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকা বৃদ্ধির প্রতিবাদে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ মানববন্ধন, ভাঙচুর ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে।

সোমবার(৬ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।



এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ইমরান, মিজান, মনি ও কাউসার বাংলানিউজকে জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের ৩য় বর্ষের ১৭টি বিভাগের ফরম পূরণ চলছে।

গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিটি বিভাগে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে ৫ হাজার ১০০ টাকার স্থলে ৭ হাজার ৩০০ টাকা, ব্যবস্থাপনা বিভাগে ৫ হাজার ১০০ টাকার স্থলে ৬ হাজার টাকা, গণিত বিভাগে ৫ হাজার ৪০০ টাকার স্থলে ৬ হাজার ৬২৫ টাকা, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে ৪ হাজার ৭০০ টাকার স্থলে ৬ হাজার টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

যেটা অনেকের পক্ষেই পরিশোধ করে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। এ কলেজের অধীনে ১৭টি বিভাগের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ছাত্রছাত্রী এই পরীক্ষার ফরম পূরণ করবে। এই অতিরিক্ত টাকা কমানোর দাবিতে ছাত্রছাত্রীরা দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল মানববন্ধন ও প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে রাখেন।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ, বাংলা বিভাগ ও উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের জানালা দরজা ভাঙচুর করে। পরে তারা কলেজ গেটে পাবনা- ঈশ্বরদী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। প্রায় আধাঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়।

এসময় রাস্তায় কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করতে দেয়নি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও কলেজের শিক্ষকরা সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে অবরোধ তুলে দেয় এবং আলোচনার প্রস্তাব দেন।

পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আব্দুল জব্বার বাংলানিউজকে জানান, পরীক্ষার ফরমপূরণের টাকা নির্ধারিত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তাদের কোনো কর্তৃত্ব নেই। তবে, কলেজ কর্তৃপক্ষ ২৪৫০ টাকার স্থলে ৫০ টাকা কমিয়ে ২৪০০ টাকা নির্ধারণ করেছে।

এ ব্যাপারে সরকারি এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. নাইদ মো. শামসুল হুদা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, ফরম পূরণের টাকা নির্ধারণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তারা শুধু মসজিদ, কর্মচারী কল্যাণ খাতে ১১৫ টাকা বৃদ্ধি করেছেন মাত্র। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আরো ৫০ টাকা কমিয়ে আনা হলো। এখন আর ফরম পূরণে কোনো সমস্যা রইল না।

তবে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তারা মঙ্গলবার সবাই বসে সিদ্ধান্ত নিবে যে পরবর্তী কি করতে হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৫
পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।