ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

স্কুলে যাতায়াতে নৌকাই ভরসা

মুশফিক সৌরভ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৫
স্কুলে যাতায়াতে নৌকাই ভরসা ছবি: বাংলানিউজেটোয়েন্টিফোর.কম

বরিশাল: যাতায়াতের রাস্তাটি পানির নিচে। তাই বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে নৌকা।

আর এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের কালবিলা গ্রামের পশ্চিম কালবিলা কালিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।

বছরের প্রায় ছয় মাস বিদ্যালয়টিতে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি পানির নিচে ডুবে থাকে। অন্য কোনো উপায় না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় যাতায়াত করতে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

স্থানীয়রা জানায়, টানা বর্ষণে জেলার বিল অঞ্চল বলে খ্যাত এ উপজেলায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কালবিলা গ্রামের বাসিন্দারা।

বছরের প্রায় ছয় মাস পানির নিচে ডুবে থাকে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি। সম্প্রতি ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের পানি অস্বাভিক বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ২০ দিন ধরে বিদ্যালয়ের আশপাশেও জমে আছে পানি।

বাধ্য হয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছেন নৌকায়। এছাড়া, দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হওয়ায় পরীক্ষায় অংশ নিতে ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সজিব পারুয়া, দীপু রানী বিশ্বাস জানায়, স্কুলের আশপাশসহ মাঠ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত তাদের অনেক কষ্ট করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। এতে করে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের কোন না কোনভাবে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে পানিতে পড়ে গিয়ে ভিজে একাকার হতে হয়।

এরইমধ্যে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর তাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। তার পরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা নৌকায় করে স্কুলে এসে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার রায় বাংলানিউজকে জানান, ১৬৮ জন শিক্ষার্থী ও তিন জন শিক্ষক চরম ভোগান্তি নিয়ে স্কুলটিতে যাতায়াত করছে।

তিনি আরও জানান, সাতলা-হারতা সড়ক থেকে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি বছরের ছয় মাসই পানিতে তলিয়ে থাকে। আর এ অবস্থা চলছে বছরের পর বছর।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ঘগিরত মল্লিক বাংলানিউজকে জানান, ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ স্কুলে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি উঁচু করার জন্য ও নিচু মাঠ ভরাটের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকবার আবেদন করেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে শীঘ্রই বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তা উঁচু করাসহ মাঠ ভরাটের কাজ শুরু করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৫     
এমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।