ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি

ছাত্রলীগ নেতাসহ দুজনকে জেল হাজতে প্রেরণ

ওয়ালিউল্লাহ, জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৫
ছাত্রলীগ নেতাসহ দুজনকে জেল হাজতে প্রেরণ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়া ও সহায়তা করার সময় আটক ছাত্রলীগ নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
 
মঙ্গলবার (০৩ নভেম্বর) ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত থেকে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।



মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক তাপস কুমার বিশ্বাস জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান আনোয়ার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথমবর্ষের ছাত্র মো. অলি হোসেন জনিকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

সোমবার নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসে আটক হয় মো. অলি হোসেন জনি। এ সময় তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করার সময় নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে আটক হন খলিলুর রহমান আনোয়ার।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী বাদী হয়ে আটককৃত দু’জনের নামে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৫(১১)১৫। ১৯৮০ সালের ‘পাবলিক পরীক্ষা আইন (অপরাধ)’-এর ৩ (খ/১৩) ধারায় মামলাটি করা হয় বলে জানান তিনি।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের মাহফুজুর রহমান ইমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি আটককৃত মো. অলি হোসেন জনি নিশ্চিত করলেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা করেনি। যদিও এই ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে বহিষ্কার করেছে।

জাবি প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা মনে করছেন, প্রতি বছর ভর্তি পরীক্ষা জালিয়াতির সাথে জড়িতদের আটক করা হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রতিবেদনও ছাপা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা না থাকায় কোন ঘটনার বিচার হচ্ছে না। ফলে এ ধরনের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাসনাত আল মাহাদী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরণের ঘটনাগুলোর যথাযথ বিচার হওয়া উচিত। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকলে এ ধরনের ঘটনা কমে আসবে।

এ বিষয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী বলেন, প্রশাসন আমাদের যেভাবে নির্দেশ দেয় আমরা সেভাবে কাজ করি। এখানে আমাদের করার কিছু নেই।

প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা এই বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন না বলে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, এই ঘটনায় জড়িত তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের তিনজনকেই সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে খলিলুর রহমান আনোয়ারকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৫
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।