ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষকদের ‘কন্টাক্ট আওয়ার’ ১২০০ ঘণ্টা

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
শিক্ষকদের ‘কন্টাক্ট আওয়ার’ ১২০০ ঘণ্টা

ঢাকা: মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে শিক্ষক ও শিক্ষার গুণগত মান অর্জনে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য একটি আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে।



এ আইনের আলোকে একটি শিক্ষক শিক্ষা কাউন্সিল গঠিত হবে। শিক্ষক প্রশিক্ষণ উন্নত করে শিক্ষার মানোন্নয়ন করাই এ কাউন্সিলের উদ্দেশ্য।
 
‘জাতীয় শিক্ষক শিক্ষা কাউন্সিল আইন-২০১৫’ নামে এ আইনের খসড়ায় দেশের শিক্ষক শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রের জন্য কার্যকর গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ কাঠামো প্রণয়ন এবং প্রবর্তন করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
 
বুধবার (১১ নভেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে শিক্ষার একটি পরিমিত মান অর্জনের জন্য এ উদ্যোগ। সারা দেশে যেন শিক্ষক ও শিক্ষার মান একই হয়। শিক্ষকদের মান অর্জন করাই এ আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য।
 
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, আইনের খসড়া অনুযায়ী শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ/ইনস্টিটিউটগুলোতে প্রশিক্ষণের ‘কন্টাক্ট আওয়ার’ অর্থাৎ কর্মঘণ্টা হবে ১২০০ ঘণ্টা।
 
শিক্ষকদের বিএড প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারিক ক্লাস বেশি প্রয়োজন জানিয়ে ফাহিমা খাতুন বলেন, এ কাউন্সিলের মাধ্যমে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলোকে আরও উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন করা হবে। কর্মঘণ্টা ঠিক করা থাকলে সারা দেশে শিক্ষকদের মান একই হবে বলে মনে করছেন তারা।
 
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোর জন্য প্রশিক্ষণের সুনির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ঠিক করা নেই।
 
খসড়া আইনের আলোকে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের জন্য আপাতত কাজ করবে এ কাউন্সিল।
 
শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ জানান, এ সংক্রান্ত বৈঠকে আইনের একটি খসড়ার ওপর আলোচনা করে তা সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মতামত গ্রহণ করা হবে।
 
নাম প্রকাশ না করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, একটি কর্মশালার আয়োজন করে মতামত দেবেন সংশ্লিষ্টরা। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষণে প্রশিক্ষণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে আলোচনায়।
 
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, আইনটি বাস্তবায়িত হলে জাতীয় কাউন্সিল কর্মঘণ্টা চেক করতে পারবে। আইনে জাতীয় কাউন্সিলের জন্য জনবল ও অবকাঠামো বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।
 
আইনের খসড়ায়, দেশের সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক শিক্ষা/প্রশিক্ষণ কার্যক্রম/কোর্স পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সমভাবে প্রযোজ্য একই ধরনের জাতীয় প্রমিতমান নির্ধারণ এবং বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।
 
শিক্ষক শিক্ষা/প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের গুণগত মান নিশ্চিতকল্পে কার্যকর কোয়ালিটি কন্ট্রোল মেকানিজম উদ্ভাবন এবং জাতীয়ভাবে নির্ধারিত প্রমিতমানের নিরিখে শিক্ষক শিক্ষা/প্রশিক্ষণ কার্যক্রম/কোর্স পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজ নিজ কার্যক্রম/কোর্স যথাযথভাবে পরিচালনা করছে কিনা- তা নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ, পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন করার কথা বলা হয়।
 
কাউন্সিল উদ্ভাবিত কোয়ালিটি কন্ট্রোল ফ্রেমওয়ার্কের অধীন বিধি-বিধান পালন/অনুসরণ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।
 
শিক্ষক শিক্ষা/প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর একাডেমিক, কারিগরি ও প্রশাসনিক জনবলের পেশাগত দক্ষতার উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ করাও এ আইনের উদ্দেশ্য।
 
সব শিক্ষক শিক্ষা/প্রশিক্ষণ কার্যক্রম/কোর্স পরিচালনাকারীদের মধ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয় ও নেটওয়ার্কিং-লিংকেজ স্থাপন করার কথাও বলা হয় খসড়ায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
এমআইএইচ/আরএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।