ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বেতন ফিক্সেশনে জটিলতায় প্রধান শিক্ষকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
বেতন ফিক্সেশনে জটিলতায় প্রধান শিক্ষকরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর অনলাইনে বেতন নির্ধারণ (ফিক্সেশন) শুরু হলেও তা করতে পারছেন না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০ হাজার প্রধান শিক্ষক।
 
এর জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘গেজেটেড কর্মকর্তা’ বাস্তবায়ন না হওয়াকে দায়ী করেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির নেতারা।


 
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রধান শিক্ষকদের ‘দ্বিতীয় শ্রেণীর গ্রেজেটেড কর্মকর্তা (বর্তমানে ১০ম গ্রেড)’ বাস্তবায়নে সারাদেশে আন্দোলন করেন প্রধান শিক্ষকরা।
 
পরে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পর আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। নতুন জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণা হলেও আশ্বাসের বাস্তবায়ন না হওয়ায় শিক্ষকরা এ জটিলতায় পড়েছেন।
 
সংগঠনের আহ্বায়ক রিয়াজ পারভেজ বাংলানিউজকে বলেন, ১৭ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে বেতন নির্ধারণ বা ফিক্সেশন শুরু হলেও প্রধান শিক্ষকরা তা পারছেন না।   জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী অনলাইনে ৩০ জুন, ২০১৫ তারিখে বেতন আহরণের হালনাগাদ তথ্য দিতে না পারায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। কারণ, বিভিন্ন জটিলতায় এখনও পর্যন্ত আগের উন্নীত দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদায় ও স্কেলে বেতন-ভাতা পাননি প্রধান শিক্ষকরা।
 
রিয়াজ বলেন, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী প্রধান শিক্ষক পদকে দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড পদ ঘোষণা করেন। একই দিন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সদ্য বিলুপ্ত দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা অনুযায়ী ১০ম গ্রেড দেওয়ার কথা। তাছাড়া ১ম, ২য় ও ৩য় টাইম স্কেলপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের করেসপন্ডিং স্কেলে বেতন র্নিধারণের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা না দেওয়ায় বেতন দিতে পারেনি হিসাবরক্ষণ অফিস।
 
তিনি বলেন, জটিলতা নিরসনে এক বছর চেষ্টার পরও লাভ হয়নি। পরে সমিতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেন ও আন্দোলনে নামেন প্রধান শিক্ষকরা।
 
রিয়াজ অভিযোগ করেন, স্মারকলিপির পর প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অর্থ বিভাগের সচিবকে নির্দেশনা দিলেও এর সুরাহা হয়নি।
 
প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও গেজেটেড মর্যাদা প্রদানসহ বেতন নির্ধারণের জটিলতা অবিলম্বে নিরসন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। না হলে নতুন বছরের প্রথম থেকে প্রধান শিক্ষকরা আবারো আন্দোলনে যাবেন বলেও জানান এ নেতা।
 
সারাদেশে ৬৩ হাজার ৮৬৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৮ হাজার ৪০ জন প্রধান শিক্ষক রয়েছেন। বাকি বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
আরইউ/এএসআর

** সমাপনী বর্জন ও কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষকরা
** প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের কর্মসূচি স্থগিত
** এবার আন্দোলনে যাচ্ছেন প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা
** প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের চেয়ার বর্জন
** পিএসসি পরীক্ষা বর্জনের হুমকি প্রধান শিক্ষকদের

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।