ঢাকা: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা কাটাতে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বসছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা-২০০৬’র সাম্প্রতিক সংশোধনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময় সভায় শিক্ষাবিদসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত নেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার বাংলানিউজজকে বলেন, শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। এর আগে শিক্ষাবিদদের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ১১ নভেম্বর এক পরিপত্রে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।
শিক্ষক নিয়োগে ব্যবস্থাপনা কমিটির ক্ষমতা খর্ব করে গত ২২ অক্টোবর তারিখ দিয়ে ওই বিধিমালার সংশোধনী প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নির্দেশনাটি ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা, ২০০৬’ এর অধিকতর সংশোধনীর গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ২২ অক্টোবর থেকে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার পর গত দুই মাস বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। বিজ্ঞাপন দিয়েও নিয়োগ দিতে পারছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটি। প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে নিজেদের কর্তৃত্ব খর্ব হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে ব্যবস্থাপনা কমিটির মধ্যে। নিয়োগের জন্য পরীক্ষা দিয়ে নিবন্ধিতরাও রয়েছেন জটিলতায়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) অধীনে দ্বাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা থেকেই কেন্দ্রীয়ভাবে মেধা তালিকা তৈরি করে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এজন্য উত্তীর্ণদের কেন্দ্রীয় মেধা তালিকা তৈরির কাজ চলছে। আর ত্রয়োদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা থেকে সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
নিবন্ধন সনদের মেয়াদ প্রথমে পাঁচ বছর থাকলেও পরে আজীবন এবং আইন সংশোধন করে আবারও তিন বছর করা হয়। বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মান বজায় রাখতে ২০০৫ সাল থেকে পরীক্ষার মাধ্যমে এ নিবন্ধন সনদ দেওয়া শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রতি বছর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অন্তত ৩০-৩৫ হাজার শিক্ষকের প্রয়োজন পড়ে। গত দুই মাসে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শরণাপন্ন হয়েছে।
ত্রয়োদশ শিক্ষক নিবন্ধন সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) আদলে একটি কমিশনের অধীনে গ্রহণ করে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়োগ করা হবে বলেও জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
এমআইএইচ/বিএস