ঢাকা: উপকূলীয় অঞ্চলে প্রতিনিয়ত আচড়ে পড়ছে উত্তাল বঙ্গোপসাগরের অগণিত ঢেউ। সেই ঢেউকে কাজে লাগিয়ে স্বল্প খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার যান্ত্রিক পদ্ধতি বের করেছে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
শতভাগ পরিবেশ বান্ধব ও জ্বালানিমুক্ত ‘ওয়েব পাওয়ার প্ল্যান্ট’ থেকে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের এ পদ্ধতি নজর কাড়ছে রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ভবনে আয়োজিত ‘স্কিলস কম্পিটিশন-২০১৫’র চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায়। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে শুরু হয়েছে এ প্রতিযোগিতা।
এ প্রযুক্তির উদ্ভাবক সিলেট পলিটেকনিকের মেকানিক্যাল টেকনোলজির চতুর্থ পর্বের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ তারেক, নবাব ইবনে কফিল ও তারেক মিয়া। তারা জানান, ৭১০ কিলোমিটার উপকূলে যেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছানো কষ্টসাধ্য, সমুদ্রের ঢেউ দিয়ে সেখানে উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ।
ঢেউয়ের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানবকল্যাণে ব্যবহারের এই উদ্যোগ সম্পর্কে আব্দুল্লাহ তারেক বলেন, উপকূলের দরিদ্র জনগোষ্ঠী স্বল্প খরচে এই পাওয়ার প্ল্যান্ট ব্যবহার করতে পারবে।
নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় গ্রিডেও বিদ্যুতের সরবরাহ করা যাবে বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
যান্ত্রিক কৌশল সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা জানান, উপকূলে আচড়ে পড়া ঢেউয়ের ওপর ভাসমান থাকবে দু’টি ফ্লোটিং ডিভাইস, যা লিভারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এপাশে ভাল্ভের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পানি ওপরে তুলতে সক্ষম। ট্যাঙ্কে জমে থাকা সেই পানি পাইপের মাধ্যমে পড়বে জেনারেটরের মাথায় লাগানো প্যানেলে।
সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকেই জেনারেটরের মাধ্যমে উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ, যা ব্যবহার করা যাবে গৃহস্থালি ও অন্যান্য কাজে। প্ল্যান্টের ধরন অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
স্বল্প খরচে এমন বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে প্রতিযোগিতায় এসেছে সারাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলো।
দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এসময় শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইনসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কারিগরি অধিদপ্তর ও বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
** এখন বুক ফুলিয়ে বলে, ‘আমি কারিগরির ছাত্র’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
এমআইএইচ/এইচএ/