ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি সোমবার থেকে, ঢাবি’তে ফাইনাল পরীক্ষা চলবে

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৬
শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি সোমবার থেকে, ঢাবি’তে ফাইনাল পরীক্ষা চলবে

ঢাকা: অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ ও অন্যান্য অসঙ্গতি দূর করার দাবিতে সোমবার (১১ জানুয়ারি) থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
 
কর্মবিরতি চলাকালে সান্ধ্যকালীন কোর্সসহ সব ধরনের নিয়মিত ক্লাস বন্ধ থাকবে।

তবে সেমিস্টার ফাইনাল বা কোর্স ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
 
রোববার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। ‌ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
 
ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ ও অসঙ্গতি দূর করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা কর্মবিরতিতে যাচ্ছি।
 
তবে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ ও তাদের শিক্ষাজীবন রক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে কর্মসূচি চলাকালে শুধু সেমিস্টার ফাইনাল ও কোর্স ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।
 
এদিকে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের বৈঠক করার কথা রয়েছে। শিক্ষকদের কর্মসূচির ফলে শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন না হন, সে ব্যাপারে তিনি শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে জানা গেছে।
 
অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে শিক্ষকদের মর্যাদা ‘অবনমনের’ প্রতিবাদ ও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন এবং সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বহাল রাখাসহ চার দফা দাবিতে গত আট মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শুরুতে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, বক্তব্য-বিবৃতি ও নির্দিষ্ট সময় ধরে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। সরকারের কোনো মহল তাদের সঙ্গে আলোচনা না করায় ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
 
এরপর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে শিক্ষক প্রতিনিধিরা দেখা করলে মন্ত্রীরা তাদের দাবির ব্যাপারটি পর্যালোচনার আশ্বাস দেন। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীকে প্রধান করে বেতন বৈষম্য নিরসন কমিটি গঠিত হয়।
 
গত ১৫ ডিসেম্বর পে-স্কেলের চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের পর তাতে শিক্ষকদের চার দফা দাবির কোনো প্রতিফলন ঘটেনি বলে অভিযোগ করে সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি পাঠায় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
 
তাদের অভিযোগ, গত ৬ ডিসেম্বরের বৈঠকে অর্থমন্ত্রী শিক্ষকদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও গেজেটে তার কোনো প্রতিফলন ঘটেনি।
 
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ জানুয়ারি ঢাবি’র সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে টানা তিন ঘণ্টা বৈঠক করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। বৈঠকে কালোব্যাজ ধারণ, দুই ঘণ্টা কর্মবিরতিসহ ১১ জানুয়ারি থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫       
এসএ/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।