খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ও ওয়ার্ল্ড ফিস’র মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। অনুষ্ঠানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে ওয়ার্ল্ড ফিস’র পক্ষ থেকে চিংড়ির ভাইরাস নির্ণয়ে প্রায় সাত লাখ টাকা মূল্যের পিসিআর মেশিন উপহার দেওয়া হয়েছে।
খুবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান, ওয়ার্ল্ড ফিস’র মহাপরিচালক ড. নাইজেল প্রিস্টনের কাছ থেকে মেশিনটি গ্রহণ করেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে খুবির ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান এবং ওয়ার্ল্ড ফিস’র মহাপরিচালক ড. নাইজেল প্রিস্টন স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
দেশে (বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে) মৎস্য ও সামুদ্রিক সম্পদ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, অভিজ্ঞতা বিনিময়সহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই এমওইউ সই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে খুবি উপাচার্য, ওয়ার্ল্ড ফিস’র মহাপরিচালক ও কান্ট্রি ডিরেক্টরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট উপহার দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- খুবি জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন ও এমওইউ স্মারক সইয়ের অন্যতম উদ্যোক্তা প্রফেসর ড. মো. নাজমুল আহসান, ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আইয়াজ হাসান চিশতি, ওয়ার্ল্ড ফিস’র এআইএন প্রকল্প ব্যবস্থাপক কাজী এ জেড এম কুদরত-ই-কিবরিয়া, ওয়ার্ল্ড ফিস’র উপ-মহাপরিচালক প্রেট্রিক ডুগান, একোয়াকালচার ও জেনেটিক ইমপ্রুভমেন্ট’র ডিসিপ্লিন পরিচালক মাইকেল ফিলিপস, দক্ষিণ এশিয় পরিচালক ড. কেরাইজ এ মেইসনার, কান্ট্রি সায়েন্স লিডার ড. ক্রিস্টোফার লিয়ন ব্রাউন, ইউএসএইড-এআইএন প্রজেক্টের হেড্রিক জন কিউ, পিএল ইকোফিস বিডি’র ড. আব্দুল ওহাব, সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ড. বিনয় কুমার বর্মণ, ডেপুটি চিফ অব পার্টি মো. নাসিম আলীম।
অনুষ্ঠানে খুবি উপাচার্য বলেন, দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরও বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। এর পেছনে বর্তমান সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি কৃষি বিজ্ঞানীদের অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, দেশে মাছের উৎপাদন সন্তোষজনক। ওয়ার্ল্ড ফিস এই চাষ সম্প্রসারণ ও উৎপাদন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এমওইউ সইয়ের ফলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও ওয়ার্ল্ড ফিস উভয় প্রতিষ্ঠান উপকৃত হবে। গবেষণা কার্যক্রম জোরদারের মাধ্যমে এক্ষেত্রে আরও অবদান রাখার সুযোগ সম্প্রসারিত হবে।
ওয়ার্ল্ড ফিস’র মহা-পরিচালক ড. নাইজেল প্রিস্টন তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, বিশ্বে জনসংখ্যা বাড়ছে। তাদের জন্য সহজলভ্য প্রোটিন হিসেবে মাছের সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কিন্তু বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অনেক দেশেই মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ চমৎকার সাফল্য অর্জন করেছে।
গবেষণার মাধ্যমে এক্ষেত্রে আরও অবদান রাখার সুযোগ আছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫
এমআরএম/আরএম