ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের বেতন-ভাতাদি স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এই শর্তে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয় অনুমোদন দিতে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে নির্দেশ দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিশ্বমানের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অপেক্ষাকৃত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়কে আবশ্যিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন এবং ডিজিটাল বালাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সাধারণ শিক্ষা ও মাদ্রাসা শিক্ষাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডগুলো নিম্নরূপ শর্তে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে অনুমতি দেবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক) চৌধুরী মুফাত আহমদ স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, ‘পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের বেতন-ভাতাদি স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে। ’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করতে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয় আবশ্যিক করা হয়েছে।
এইচএসসিতে দ্বিতীয়বার এই বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও আগামী বছর এসএসসিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপর পরীক্ষা হবে।
কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই বিষয়ের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত নন। অর্থাৎ তারা বেতন-ভাতার সরকারি অংশ পান না। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএম