ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

হোয়াটসঅ্যাপ-ফেসবুকে প্রশ্ন যাচ্ছে পরীক্ষার্থীর হাতে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৬ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৬
হোয়াটসঅ্যাপ-ফেসবুকে প্রশ্ন যাচ্ছে পরীক্ষার্থীর হাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীর ফেসবুক পেজের স্ক্রিনশর্ট

ঢাকা: এইচএসসি পরীক্ষার ১৪তম দিন সোমবার (৯ মে) পরীক্ষা শুরুর দু’ঘণ্টা আগেই ফেসবুকে দু’টি বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ‘প্রকাশ’ হয়ে গেছে।  
 
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র (তত্ত্বীয়) এবং ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের প্রশ্ন এদিন বেলা ১২টার দিকে (রাত ৮টায় ফেসবুকে দেখাচ্ছে ৭ ঘণ্টা আগে) ফেসবুকে পাওয়া যায়।


 
একাধিক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় প্রতিদিনই পরীক্ষা শুরুর আগে হোয়াটসঅ্যাপ, ইমেইল এবং ফেসবুকের মাধ্যমে প্রশ্ন পাচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা।
 
তারা জানান, বেলা ২টা থেকে পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র (তত্ত্বীয়) এবং ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের পরীক্ষা ছিল।
 
পরীক্ষা শুরুর আগেই ফেসবুকে (https://www.facebook.com/ahmeed.niloy.1?lst=100000498202031%3A100011163819495%3A1462778616&__mref=message_bubble) ওই দুই বিষয়ের প্রশ্ন পাওয়া যায়।
 
আহমেদ নিলয় নামের আইডি থেকে সে বিষয় দু’টির প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে।
 
আগামী ১৫ মে অনুষ্ঠেয় হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্ন সরবরাহের জন্য তিনি অর্থও চেয়েছেন।
 
লিখেছেন, আগের দিন বিকেলে দিব মাত্র 10000 হাজার টাকা লাগবে। বাজে comments করলে Blocked খাবেন।
 
এরআগেও বিভিন্ন বিষয়ের প্রশ্ন প্রকাশ করা নিলয় আগামী শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রশ্ন সরবরাহেরও বার্তা দিয়ে লিখেছেন, Next Coming Soon... শিক্ষক নিবন্ধ।
 
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপারে কড়াকড়ি উচ্চারণ করলেও কাজে আসছে না।
 
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (কলেজ) এবং পরীক্ষা উপলক্ষে স্থাপতি কন্ট্রোল রুম ইনচার্জ এ জেড এম নুরুল হক ফেসবুকের ওই লিংকটির বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বলে বাংলানিউজকে জানান।
 
পদার্থ বিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের (তত্ত্বীয়) বিষয়ের প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, এক ঘণ্টা আগে তারা হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন পেয়েছেন।
 
বুয়েটের ছাত্ররা এমসিকিউ প্রশ্ন সমাধান করে দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, লিখিত বিষয়ের প্রশ্ন নিজেদেরই সমাধান করতে হয়েছে।
 
আরও এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, ফেসবুক এবং ই-মেইলে প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এজন্য টাকা দিতে হয়।
 
প্রশ্নের ইমেজ বর্ণনা করে তিনি বলেন, পরীক্ষার আগে কোনো প্রিন্সিপাল বা উচ্চ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা ছবি তুলে গ্রুপে পাঠান। আর সেখান থেকে তারা প্রশ্ন হাতে পেয়ে যান।
 
প্রথমে গুরুত্ব না দিলেও এখন প্রতিদিনই সেই প্রশ্নের আশায় বসে থাকেন জানিয়ে ওই শিক্ষার্থী বলেন, প্রশ্ন পেলে ফল ভালো হবে। তাই অপেক্ষায় থাকি।
 
বাণিজ্য বিভাগের এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে জানান, বাংলা-ইংরেজি-আইসিটি বিষয়ের প্রশ্ন পেয়েছিলেন তিনি।
 
বিজ্ঞানের ওই শিক্ষার্থী বলেন, এভাবে প্রশ্ন পেয়ে ভাল পরীক্ষা দিচ্ছি ঠিকই, কিন্তু ভার্সিটিতে ভর্তির জন্য যে কী রকম ক্ষতি হচ্ছে সেটাও বুঝতে পারছি। কিন্তু সবাই প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে, আমিও ভাল ফলের জন্য জেনেও অন্যায়ের আশ্রয় নিচ্ছি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৬
এমআইএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।